ঢাকা, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২
বিনিয়োগ ছাড়াই দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশিদের

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পেতে এতদিন বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ অপরিহার্য ছিল। তবে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছে একটি নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা, যা মনোনয়ন-ভিত্তিক। এই ব্যবস্থায় ভিসা পেতে এখন আর বিশাল ব্যবসা বা সম্পত্তিতে কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানায়, আগে দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসা পেতে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো। কিন্তু নতুন এই নীতিতে মাত্র ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) ফি দিয়ে মনোনয়নপ্রাপ্তরা গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক এই ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
মনোনয়নভিত্তিক এই গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে ‘রায়াদ গ্রুপ’ নামের একটি পরামর্শক সংস্থা। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব এটিকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই পাইলট প্রকল্প সফল হলে সিইপিএ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তিভুক্ত অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আবেদনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আবেদনকারীদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হবে। এই যাচাইয়ে তাদের অতীত ইতিহাস, অর্থপাচারের সংশ্লিষ্টতা, অপরাধমূলক রেকর্ড এবং এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজর দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে যাচাই করা হবে, আবেদনকারী ব্যক্তি সংস্কৃতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, স্টার্টআপ বা পেশাগত খাতে আমিরাতকে কীভাবে উপকৃত করতে পারেন।
যাচাই শেষে রায়াদ গ্রুপ আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা মঞ্জুরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আবেদনকারীদের দুবাই সফর করতে হবে এবং নিজ দেশ থেকেই প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া যাবে।
আবেদন জমা দেওয়া যাবে ‘ওয়ান ভাস্কো (One VASCO)’ নামের একটি ভিসা কনসিয়ারজ সার্ভিস কোম্পানির ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থিত সেন্টার, অনলাইন পোর্টাল, রায়াদের অফিস অথবা ডেডিকেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে।
নতুন এই ভিসার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ, সম্পত্তি বিক্রি বা বিভক্ত হলে সাধারণত সেই ভিসা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা একবার মঞ্জুর হলে তা স্থায়ীভাবে বহাল থাকবে।
এ ছাড়া মনোনীতরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দুবাইতে নিয়ে যেতে পারবেন। তারা গৃহকর্মী বা ড্রাইভার রাখার অনুমতি পাবেন এবং সেখানে ব্যবসা বা পেশাগত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগও থাকবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- ১০ কোম্পানির কারণে ৩ মাস পেছনে গেল শেয়ারবাজার