ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
বিনিয়োগ ছাড়াই দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশিদের

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পেতে এতদিন বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ অপরিহার্য ছিল। তবে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছে একটি নতুন ধরনের গোল্ডেন ভিসা, যা মনোনয়ন-ভিত্তিক। এই ব্যবস্থায় ভিসা পেতে এখন আর বিশাল ব্যবসা বা সম্পত্তিতে কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই জানায়, আগে দুবাইয়ে গোল্ডেন ভিসা পেতে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) মূল্যের সম্পত্তি কিনতে হতো। কিন্তু নতুন এই নীতিতে মাত্র ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) ফি দিয়ে মনোনয়নপ্রাপ্তরা গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক এই ভিসার জন্য আবেদন করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
মনোনয়নভিত্তিক এই গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে ‘রায়াদ গ্রুপ’ নামের একটি পরামর্শক সংস্থা। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়াদ কামাল আইয়ুব এটিকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই পাইলট প্রকল্প সফল হলে সিইপিএ (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট) চুক্তিভুক্ত অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
আবেদনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, আবেদনকারীদের ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা হবে। এই যাচাইয়ে তাদের অতীত ইতিহাস, অর্থপাচারের সংশ্লিষ্টতা, অপরাধমূলক রেকর্ড এবং এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজর দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে যাচাই করা হবে, আবেদনকারী ব্যক্তি সংস্কৃতি, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, স্টার্টআপ বা পেশাগত খাতে আমিরাতকে কীভাবে উপকৃত করতে পারেন।
যাচাই শেষে রায়াদ গ্রুপ আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা মঞ্জুরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আবেদনকারীদের দুবাই সফর করতে হবে এবং নিজ দেশ থেকেই প্রাথমিক অনুমোদন পাওয়া যাবে।
আবেদন জমা দেওয়া যাবে ‘ওয়ান ভাস্কো (One VASCO)’ নামের একটি ভিসা কনসিয়ারজ সার্ভিস কোম্পানির ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থিত সেন্টার, অনলাইন পোর্টাল, রায়াদের অফিস অথবা ডেডিকেটেড কল সেন্টারের মাধ্যমে।
নতুন এই ভিসার একটি বড় সুবিধা হলো, এটি সম্পত্তি-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসার মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কারণ, সম্পত্তি বিক্রি বা বিভক্ত হলে সাধারণত সেই ভিসা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু মনোনয়ন-ভিত্তিক ভিসা একবার মঞ্জুর হলে তা স্থায়ীভাবে বহাল থাকবে।
এ ছাড়া মনোনীতরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দুবাইতে নিয়ে যেতে পারবেন। তারা গৃহকর্মী বা ড্রাইভার রাখার অনুমতি পাবেন এবং সেখানে ব্যবসা বা পেশাগত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগও থাকবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার