ঢাকা, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরকে ট্রাম্পের হুমকি

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুন ০৮ ১৮:৫১:২৬
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরকে ট্রাম্পের হুমকি

সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের। টানাপোড়েনের মধ্যে এবার মাস্ককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। যদি ইলন মাস্ক ডেমোক্র্যাটদের আর্থিক সহায়তা দেন, তবে তাকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৭ জুন) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "যদি তিনি এটা করেন, তাহলে তাকে খুব গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।"

তবে সেই পরিণতি কী হতে পারে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

আজ রবিবার (৮ জুন) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি রিপাবলিকান বাজেট পরিকল্পনার বিরোধিতা করার কারণে ট্রাম্প এবং মাস্কের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন প্রকাশ্যে আসে। বাজেট পরিকল্পনায় অর্থ ঘাটতির সম্ভাবনা থাকায় মাস্ক তা নিয়ে সরাসরি আপত্তি জানান। এ বিষয়েই তাদের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠে।

ট্রাম্প জানান, "মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের কোনো ইচ্ছা তার নেই।" সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বলেন, ‘না।’ সম্পর্ক শেষ হয়েছে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, হ্যাঁ।’

টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের সঙ্গে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী নন বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "আমি তাকে ফোন করার কোনো পরিকল্পনাই করিনি। আমি অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যস্ত।"

ট্রাম্প বলেন, "সে প্রেসিডেন্টের অফিসকে অসম্মান করছে। এটা অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়কে আপনি এমনভাবে অসম্মান করতে পারেন না।"

এর আগে বৃহস্পতিবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একাধিক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক। একটি পোস্টে তিনি প্রয়াত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের পুরনো সম্পর্কের ইঙ্গিতও দেন। যদিও পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলেন।

এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "ওটা পুরোনো খবর। এটা বহু বছর ধরেই আলোচিত। এমনকি এপস্টেইনের আইনজীবীও বলেছে, আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।"

ট্রাম্প ও মাস্কের এই প্রকাশ্য বিরোধের প্রতিফলন দেখা গেছে মার্কিন কংগ্রেসেও। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা যেমন তীব্র হয়েছে, তেমনি টেসলার শেয়ারমূল্যেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলো।

সবকিছু বিবেচনায় ট্রাম্পের বার্তা স্পষ্ট—বিরোধীদের পক্ষে অবস্থান নিলে মাস্ককে তার কঠিন মূল্য চোকাতে হতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত