ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ঢাবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ড. নীলিমার বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ
.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নীলিমা আক্তারের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, স্বৈরাচারের সহযোগী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে 'মব' সম্বোধনকারী ও গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদনকারী অভিযোগ এনে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১২টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ইংরেজি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা বিভাগ ও অনুষদের দেয়ালে ড. নীলিমা আক্তারের বহিষ্কার দাবিতে 'নীলিমা আউট' লিখেন।
শিক্ষার্থীরা- “অ্যাকশান টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশান; দালালদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশান; দালালদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; ১, ২, ৩, ৪, নীলিমার বহিষ্কার ; জুলাইয়ের অপমান সইবো নারে সইবো না; স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিজমের শিকড় সমূলে উৎপাটিত না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। নীলিমা আক্তারকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। তা না হলে তাকে ইংরেজি বিভাগ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে। আমরা তাকে যেখানে পাবো সেখানে তিরস্কার করবো।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করে তারা বলেন, ড. নীলিমা আক্তার যিনি আওয়ামীপন্থী নীল দলের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য। গত জুলাই মাস থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে আসছেন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো তিনি প্রতিনিয়ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানকে 'মব' বা উচ্ছৃঙ্খল জনতা বলে আখ্যায়িত করেন। এই ধরনের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা তাঁর ক্লাসে বর্জন করলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বিভাগ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বরং তাঁর প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে।
তাছাড়া গতকাল ড. নীলিমা আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ট্যাটাসে গত বছর জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত সকল লাশের দায় 'আন্দোলনকারীদের' উপর চাপিয়েছেন যা নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও উস্কানিমূলক মন্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাঁর নৈতিক অবস্থানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে দুইটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো-
১. ড. নীলিমা আক্তারকে অবিলম্বে ও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হোক।
২. তার বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বাজার থেকে বাদ পড়তে পারে বাংলাদেশ
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা