ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত

পার্বত্য জেলা বান্দরবানকে নিয়ে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে স্থানীয় ছাত্রসংগঠনগুলো। জনসম্মুখে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তার প্রবেশ এবং এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত ও সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবে ‘ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেন ছাত্র নেতারা।
ছাত্র নেতারা অভিযোগ করেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে 'জুলাই পদযাত্রা' চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস আলম বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যকে চরম অবমাননাকর ও নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি জেলার সম্মানহানিই নয়, বরং সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ।
নেতারা জানান, এই মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিবাদের মুখে স্থানীয় এনসিপি নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’তে সারজিস আলম উপস্থিত হয়ে জনসম্মুখে দুঃখ প্রকাশ করবেন। কিন্তু তিনি সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ছাত্র নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতা আসিফ ইসলাম বলেন, “সারজিস আলম ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তার উপস্থিতি ও এনসিপির কার্যক্রম আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে কেউ যদি অবমাননা করে, আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় দেখব না, তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি আসিফ ইকবাল বলেন, “বান্দরবানকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। আমরা এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেব না।”
নেতারা একই সঙ্গে দাবি জানান, যেসব সরকারি কর্মকর্তাকে ‘শাস্তিস্বরূপ বদলি’ হিসেবে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং পার্বত্য অঞ্চলকে দুর্নীতিবাজদের জন্য বরাদ্দ এলাকা হিসেবে চিত্রিত করার প্রবণতা রোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি মাহির ইফতেখার, খালিদ বিন নজরুল, জুবায়ের ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র নেতারা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার