ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২
চবিতে নিরাপদ ক্যাম্পাস-প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ শিক্ষাজীবনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পৃথকভাবে দুইটি মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শাখা ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি করেছেন।
প্রথম মিছিলটি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার ও লাইব্রেরি মোড় ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা “আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না”, “রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়”, “আমার ভাই কোপ খায়, প্রশাসন নিয়োগ চালায়” ও “এক দফা এক দাবি, প্রশাসনের পদত্যাগ চাই”সহ স্লোগান দেন।
শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আমরা বারবার হামলার শিকার হচ্ছি। প্রধান প্রক্টর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছেন। প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।”
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান যোগ করেন, “সাম্প্রতিক ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আহত হলেও প্রশাসন তালিকা করেনি এবং কোনো কার্যকর পদক্ষেপও নেয়নি। তারা পদত্যাগ না করে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত।”
অপরদিকে, রাত ৮টার দিকে শহীদ মিনার থেকে সচেতন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আরেকটি মশাল মিছিল শুরু হয়। এতে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নারী অঙ্গনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। মিছিলটি প্রক্টর অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে প্রতীকীভাবে লাল রঙ নিক্ষেপ করে প্রতিবাদ জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ‘প্রক্টর রক্তখেকো’, তাই লাল রঙ প্রতীকী রক্ত হিসেবে ছিটানো হয়েছে।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির বলেন, “আমরা প্রশাসনকে ছয়টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। দাবি না মানায় প্রতীকী লাল রঙ নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছি।”
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক মোহাম্মদ আকিব বলেন, “প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করেছে। আমাদের সাত দফা যৌক্তিক দাবি রয়েছে। তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি; তা পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই আন্দোলন কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, বরং নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা