ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেন বেশি দামে গম কিনছে সরকার?
.jpg)
বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার-সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ব্যয় হবে ৮১৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকা। তুলনামূলক বেশি দামে হলেও বাণিজ্য ভারস্যমূলক রাখতে এবং উৎস বৈচিত্র্য আনতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগত অনুমোদন দেয়। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬-এর ধারা ৬৮(১) এবং বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই গম আমদানি করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের হুইট অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বিদ্যমান ১৫.৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি আরও ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে। ফলে রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেই প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা ভারসাম্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের ব্লকে অনিশ্চয়তা থাকায় উৎসে বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই গমের দাম বেশি কি-আ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কিছুটা বেশি, তবে মানের দিক থেকে কিছু সুবিধা রয়েছে। এই গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি। প্রোটিন খুব বেশি তা নয়, তবে একটু বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের শূল্ক প্রয়োগের আর ৮ দিন বাকি আছে, এর মধ্যে আর আলোচনা হবে কি-না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পাল্টা শুল্ক কার্যকরের আগেই আলোচনা চালাতে বাণিজ্য উপদেষ্টা ১ আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন।
শুল্ক বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে এই ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। নেগোশিয়েশন তো দূরের কথা।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প