ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মীদের জন্য নতুন পোশাকবিধি জারি

বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য শালীন পোশাক পরিধানের নির্দেশনা জারি করেছে। সোমবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ-২ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়, যা একই দিন থেকে কার্যকর হয়েছে। এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মক্ষেত্রে সাম্য, ঐক্য এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখা।
পোশাক সংক্রান্ত নির্দেশনা
নারী কর্মী: অফিসে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ ও ওড়না কিংবা অন্যান্য পেশাদার ও শালীন পোশাক পরতে হবে। শর্ট স্লিভ, ছোট দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরিহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ফরমাল স্যান্ডেল বা জুতা, সাদামাটা হেডস্কার্ফ বা হিজাব পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাউকে হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়নি, তবে যারা পরবেন, তাদের সাদামাটা রঙের হিজাব পরতে হবে।
পুরুষ কর্মী: ফরমাল শার্ট (লম্বা বা হাফ হাতা) ও প্যান্ট পরতে হবে। জিনস ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, "এক প্রতিষ্ঠানে সবাই এক ধরনের পোশাক পরবে, সেই লক্ষ্য থেকেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পোশাক নিয়ে যেন সাম্য ও ঐক্য থাকে, কোনো ধরনের মানসিক বৈষম্য না থাকে। আর শালীন পোশাক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নারী-পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করা তরুণ কর্মীদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আচরণের প্রবণতা দেখা যাওয়ায়, বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
পোশাকবিধির পাশাপাশি এই নির্দেশনায় আরও বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:
নারী কর্মীদের প্রতি আচরণ (১১ক): বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩-এর ৩৯ ধারায় বর্ণিত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। যৌন হয়রানিসংক্রান্ত অভিযোগগুলো ঘটনা ঘটার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মানবসম্পদ বিভাগ-১-এর নির্দিষ্ট কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার (১১খ): মানবসম্পদ বিভাগ-২-এর অফিস নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
ইতিবাচক কর্মপরিবেশ ও দাপ্তরিক শিষ্টাচার (১১গ): সততা, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠা ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। সহকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ ও আন্তরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক (পারস্পরিক সম্মান, সৌজন্যবোধ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি) বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষণ ও তদারকি (১২)
১১ নম্বর ক্রমিকে দেওয়া নির্দেশনাগুলো পরিপালন হচ্ছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিটি অফিস, বিভাগ, প্রকল্প, সেল, ইউনিট থেকে একজন কর্মকর্তাকে মনোনীত করতে হবে। মনোনীত কর্মকর্তা এই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে তদারকি করবেন। কোনো ব্যত্যয় হলে বিভাগীয় প্রধানকে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দেশনা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে অভিযোগ পাঠাতে হবে।
নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের উত্থান কি টেকসই হবে? বিশ্লেষকরা যা বলছেন
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বাজার থেকে বাদ পড়তে পারে বাংলাদেশ
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৮ প্রতিষ্ঠান
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’