ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জার্মানিতে শরণার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

ডুয়া নিউজ- প্রবাস
২০২৫ মে ২৮ ২৩:৪২:১৬
জার্মানিতে শরণার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ

অস্ট্রিয়ার পথ অনুসরণ করে শরণার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন স্থগিত করতে যাচ্ছে জার্মানির নতুন সরকার। আগামী ২৮ মে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে একটি খসড়া আইন উত্থাপন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ডট।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব শরণার্থী সীমিত সুরক্ষা মর্যাদা পেয়েছেন, তারা দুই বছর পর পরিবারের সদস্যদের জার্মানিতে আনতে পারবেন। তবে বিশেষ জরুরি ক্ষেত্রে কিছু শর্ত শিথিল রাখা হবে।

সরকার গঠনের আগেই সিডিইউ/সিএসইউ এবং এসপিডি’র জোট চুক্তিতে এই আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি মাসে এক হাজারের বেশি মানুষ পারিবারিক পুনর্মিলনের আওতায় জার্মানিতে প্রবেশ করছেন। তবে এই সুযোগ বন্ধ করতে চায় সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডোব্রিন্ডট বলেন, “জার্মানিতে অভিবাসনের সুযোগগুলো সীমিত করতে হবে। নতুন আইন দেখাবে যে আমাদের অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন এসেছে।”

সমালোচনায় গ্রিন পার্টি

নতুন নীতির কড়া সমালোচনা করেছে গ্রিন পার্টি। দলের নেত্রী শাহিনা গাম্বির বলেন, “এই নীতি দুর্বলদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং ইউরোপীয় মানবাধিকার ও জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনের লঙ্ঘন।”

এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শরণার্থীদের পারিবারিক পুনর্মিলন স্থগিত ছিল। পরে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে প্রতি মাসে এক হাজার সদস্যকে পারিবারিক পুনর্মিলনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল।

নাগরিকত্ব আইনেও আসছে পরিবর্তন

নাগরিকত্ব আইনেও পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। আগে ‘বিশেষ সাফল্য’ দেখালে তিন বছরেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যেত। নতুন সরকার এ সুবিধা বাতিল করতে চায়। খসড়া আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব পাওয়ার আগে দীর্ঘমেয়াদি আইনি বসবাস বাধ্যতামূলক করা হবে।

জার্মান পার্লামেন্টে ১১ জুলাই গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগে বিলটি পাস করানোর লক্ষ্য সরকারের। নতুন সরকারের মূল লক্ষ্য—অবৈধ অভিবাসন রোধ এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া কঠোর করা।

সীমান্তে নজরদারি জোরদারসহ অননুমোদিত অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও সমালোচকেরা বলছেন, এসব পদক্ষেপ ইউরোপীয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত