ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলাদেশিদের ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া বন্ধ করছে যেসব দেশ

ডুয়া ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়া বন্ধ বা সীমিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্যুরিস্ট ভিসার অপব্যবহার ও নির্ধারিত সময় শেষে বিদেশ থেকে না ফেরার প্রবণতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় গন্তব্য ভিয়েতনাম চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। মূল কারণ ছিল—অনেক বাংলাদেশি ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ফেরত না এসে সেখানেই কাজ শুরু করেছেন বা অবৈধভাবে তৃতীয় দেশে চলে গেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশেষ করে দুবাই আগে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য ছিল। তবে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে দেশটি বাংলাদেশিদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা কার্যত বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে সীমিত সংখ্যক—প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি—ভিসা ইস্যু হলেও তা সাধারণ ভ্রমণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
ভারতও গত বছর একই সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর ফলে চিকিৎসা বা পর্যটন-গন্তব্য হিসেবে অনেকে বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডমুখী হন। তবে এখন থাইল্যান্ডে ভিসা পেতে কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় লাগছে। ৫ মে থেকে দেশটি এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ইউরোপ ভ্রমণ করা ব্যক্তিদের আবেদনও অকারণে বাতিল করছে।
ইন্দোনেশিয়া আগে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিতেও আগ্রহী ছিল। এখন সেখানে ভিসা পেতে প্রায় দুই মাস সময় লাগছে। ফিলিপাইনেও আগে ১০ দিনে ভিসা মিললেও এখন তা পেতে দেড় মাস লেগে যাচ্ছে।
উজবেকিস্তান আগে ইলেকট্রনিক ভিসা প্রদান করলেও গত আগস্ট থেকে তারা বাংলাদেশের নাম ভিসা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
এই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পর্যটকদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের গন্তব্য ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। যারা এখনো ভিসা দিচ্ছে সেখানেও প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ ও জটিল হয়ে উঠেছে—যা দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য উদ্বেগজনক।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশের অনেক নাগরিক ভিসা নীতির অপব্যবহার করে বিদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন যা ভবিষ্যতে আরও বেশি দেশকে বাংলাদেশিদের জন্য সীমাবদ্ধতা আরোপে বাধ্য করতে পারে। কম্বোডিয়া সহ কিছু দেশে বাংলাদেশিদের অবৈধ মাইগ্রেশনের তথ্য স্থানীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জড়িত থাকার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, এখনই যদি সরকার অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ না নেয় তবে তা পর্যটন খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত