ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংসে তদবির করছে ভারত!
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: এবার পাকিস্তানের অর্থনীতি ধ্বংস করার পায়তারা করছে ভারত! আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে পাকিস্তানে বিতরণ করা ঋণ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
আজ শুক্রবার (২ মে) ভারতীয় সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার পর দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা পেল।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। এছাড়াও দুই দেশের সীমান্তে গত ৮ দিন ধরে সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি বিনিময় হয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সর্বশেষ সংকট সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
এদিকে হামলার পর নয়াদিল্লি তিনজন হামলাকারীকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে ইসলামাবাদ হামলার সঙ্গে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে একতরফাভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু নদী পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ফুঁসে উঠে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, দুই দেশ একে অপরের বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছে।
সূত্র জানিয়েছে, গত বছর পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে। এছাড়া, চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশটি ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু স্থিতিস্থাপক ঋণও গ্রহণ করেছে।
প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির জন্য এই ঋণ কর্মসূচিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পাকিস্তান। দেশটির মতে, এসব ঋণ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছে এবং নানা অর্থনৈতিক হুমকি থেকে রক্ষা করেছে।
এদিকে ভারত পাকিস্তানের ঋণ বন্ধে তদবির শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আইএমএফের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি। ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণ পর্যালোচনার অনুরোধ করেছে। দেশটি চায় না পাকিস্তান এ ধরনের বিদেশি ঋণ পাক। নয়াদিল্লির একটি সরকারি সূত্র বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে রয়টার্সকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
যদিও আইএমএফ এবং ভারতের অর্থমন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।
তবে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন, “আইএমএফ কর্মসূচি ভালো চলছে। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।”
উপদেষ্টা খুররম শেহজাদ রয়টার্সকে বলেন, “সর্বশেষ পর্যালোচনাটি ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা সম্পূর্ণ সঠিক পথে আছি। পাকিস্তান ওয়াশিংটনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বৈঠকে খুবই ফলপ্রসূ সাড়া পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রায় ৭০টি বৈঠক করেছি... অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সাথে সাথে পাকিস্তানে বিনিয়োগ এবং সমর্থন করার আগ্রহ অনেক বেশি।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে