ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
২২ বিলিয়ন ছাড়াল প্রকৃত রিজার্ভ

ডুয়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ২০৪ কোটি ৭৮ লাখ বা ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভ বর্তমানে ২ হাজার ৭৪১ কোটি ডলার বা ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকৃত রিজার্ভ বা বৈদেশিক মুদ্রার মজুত হিসাব করতে ৫৩৬ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। আইএমএফের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় থাকতে হবে। আশা করছি সংস্থাটির শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হবো।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির শর্ত পূরণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে। সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী জুনে নিট রিজার্ভ-এনআইর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি। যেখানে নিট বা ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখন ১৭ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আছে।’
বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায় ২০২২ সালের আগস্টে, যা ছিল ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকে প্রতিমাসেই রিজার্ভের পরিমাণ কমতে থাকে এবং সরকারের বিদায়ের আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের শেষে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে।
তবে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া ৩৭০ কোটি ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে আর বকেয়া রাখার সুযোগ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে বিদেশি ঋণের সুদ যোগ হয়েও শেষ তিন মাসে প্রায় ৭৪ কোটি ডলার কমে গত ডিসেম্বর শেষে ১০ হাজার ৩৬৪ কোটি ডলারে নেমেছে। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে দেশে ২৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগে, গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশ, ওই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার—যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে প্রতি মাসে। জুলাইয়ে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি এবং মার্চে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা সাত মাস ধরে রেমিট্যান্সের এ ঊর্ধ্বগতি রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৭ কোম্পানি
- ফেসবুক গ্রুপের এডমিন-সিআরদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ডাকসু নির্বাচন কমিশন