ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

ডলারের বিপরীতে টাকার ফের ঘুরে দাঁড়ানো

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ১৫ ০৯:০৮:৩১
ডলারের বিপরীতে টাকার ফের ঘুরে দাঁড়ানো

প্রবাসী আয়ের তীব্র প্রবাহ এবং প্রত্যাশিত রপ্তানি আয়ে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে গত ১০ দিনে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।

ডলারের দাম কমার কারণে টাকার মান বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ আরও কমছে। পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও কম দামে ডলার পাওয়া যাবে। এতে দায়ও কমবে।

গত রোববার (১৩ জুলাই) বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার বিনিময় করেছে প্রতি ডলার ১২০.৩০ টাকা থেকে ১২১.২০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহের শুরুতে ডলারের দর ছিল ১২২.৮০ টাকা থেকে ১২২.৯০ টাকা। সবশেষ তথ্যমতে, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমে ১২০ টাকার নিচে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৪ জুলাই) মার্কিন ডলার ব্যাংকগুলো ১১৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২০ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা করেছে। এর আগে একই দিন ডলার দর ১১৯ টাকায় নেমে আসে, যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরের আগস্টেও ডলার সর্বনিম্ন ১১৯ টাকায় লেনদেন হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এই অঙ্ক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।

এই প্রবাহের ধারাবাহিকতায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রবাসীরা প্রায় ১ হাজার ৭১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন ৮৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে, যেখানে গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ৯৪৮ মিলিয়ন ডলার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সরকারের পতনের পর রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে বড় ধরণের উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এতে বাজারে ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। অপরদিকে, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানিতে বড় কোনো চাপ না থাকায় ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েনি, ফলে দাম কমতির দিকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, গভর্নরের নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বাজার থেকে ডলার কিনে আমদানি বিল পরিশোধ করেছে, ফলে তাদের আর কোনো ব্যাকলগ নেই। এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ভালো থাকায় বাজারে ডলারের জোগান স্থিতিশীল রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত