ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর নির্বাচন প্রস্তুতিতে গতি
.jpg)
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানা সন্দেহ-সংশয়ের মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন সম্প্রতি সাক্ষাৎ করেন। ২৬ জুন অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পর থেকেই নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুরু হয়েছে তৎপরতা।
নির্বাচন ঘিরে গতি পেয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা বিভিন্ন সংস্কার এখন অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
১ জুলাই দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন এখন ফুল গিয়ারে প্রস্তুতিতে আছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পনা এগোচ্ছে। যদিও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরাসরি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে তিনি জানান।
এদিকে ৯ জুলাই রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রমজানের আগে নির্বাচন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এর ঠিক একদিন আগে, ৮ জুলাই, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। তার পরদিনই সিইসি কমিশন সভা ডাকেন, যেখানে আরপিওসহ বেশ কয়েকটি আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়।
এই সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়—
আরপিও সংশোধন করে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের হাতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব অনুমোদন
হলফনামায় কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচন কর্মকর্তা আইনে সংশোধনীর খসড়া অনুমোদন
সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার তালিকা আইন সংশোধনের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আসনসীমা নির্ধারণ আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে, নির্বাচন প্রতীকের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াও চলছে।
এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী উপকরণ কেনাকাটা ও প্রস্তুতি কাজও চলমান। ব্যালট পেপার-সহ বিভিন্ন মুদ্রণকাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর সহায়তায় গ্রহণ করা হয়েছে ব্যালট নামের একটি প্রকল্প।
সীমানা পুনর্নির্ধারণজাতীয় সংসদের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ৭৯টি আসন থেকে ৬ শতাধিক আবেদন এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে এখন প্রজ্ঞাপন জারি করে দাবি-আপত্তি নেবে নির্বাচন কমিশন। এই কাজটি এতদিন ঝুলে থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর গতি বেড়েছে।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং অন্যান্য সুপারিশের আলোকেও আমরা দেখেছি টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা এটাকে আরেকটু বোধহয় বাছাই করার সুযোগ আছে।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের মধ্যে ছিল বড় জেলাগুলোতে ১০ শতাংশ ভোটারের ভ্যারিয়েশন রাখা, প্লাস-মাইনাস ১০ শতাংশ ভোটার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, যেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে সমন্বয় করতে হলে সবগুলো আসনকে ভেঙে ভেঙে সাজাতে হবে। এটার আরেকটা দিক আছে। ২২১টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে কোনো ধরনের আবেদন হয়নি। তদুপরি যেখানে যেখানে অনেক বেশি ভ্যারিয়েশন আছে এটাতে আরেকটু কিছু করা যায় কিনা সেটার জন্য আমরা দেখতে বলেছি। চলতি সপ্তাহে এটা প্রকাশ হয়ে যাবে।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থা এবং অবস্থান, প্রশাসনিক সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার আছে, সেটাকে যুক্ত করে তারপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।
ভোটার তালিকাইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কার্যক্রমে নতুন করে ৪৪ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন, যাদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি সম্পূরক তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬০২ জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্যমান তালিকা পর্যালোচনায় ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন মৃত ভোটারের তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান রয়েছে। তবে আমরা চাই, যাঁরা বছরের মাঝামাঝিতে ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, তাঁদের নামও তালিকায় আসুক। এদের মধ্যে অনেকেই ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি ভোটার হওয়ার যোগ্য হলেও বিভিন্ন কারণে তালিকাভুক্ত হননি। তাই আমরা তাদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে চলতি সপ্তাহেই সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশ করব।
দল নিবন্ধননতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কার্যক্রমও এতদিন ধীরগতিতে চলছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এক কাজটি বেশ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ২০ সদস্যের একটি টিম ইতোমধ্যে প্রাথমিক বাছাই চূড়ান্ত করেছে। তথ্যে যাদের ঘাটতি আছে তাদের আরও ১৫দিন সময় দেওয়া হবে। ১৪৭টি দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দলগুলোর দেওয়া আবেদনগুলোর প্রাথমিক যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যাচাইয়ের পরে যে সব দলের তথ্য পূর্ণাঙ্গ আছে বা ফরম্যাট অনুযায়ী সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে আবেদন জানিয়েছে, সেগুলো মাঠ পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের জন্য চলে যাবে। আর যারা সম্পন্ন করেননি তাদের ১৫ দিনের সময় দিয়ে আবারও চিঠি দেওয়া হবে।
ভোটকেন্দ্র নীতিমালাপ্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভোটকেন্দ্রের নীতিমালাও সংশোধন করেছে ইসি। এক্ষেত্রে আগের কমিশন ইসি কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেছিল। কমিশন এবার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতেই ফের কর্তৃত্ব দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভোটকেন্দ্র সংস্কারের মতো উদ্যোগও হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। এতে সহজীকরণের বিষয়টা যেমন, আমাদের নারীদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র থাকে; আমাদের সিনিয়র সিটিজেন, সন্তানসম্ভবা মা, অসুস্থ বা তাদের প্রায়োরিটি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যদি আমরা একটা তরুণ জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য, ভোটের প্রতি যারা বিমুখ হয়ে গেছেন, তাদের জন্য পৃথক ভোটকেন্দ্র করতে যদি সরকারের কোনো প্রস্তাবনা থাকে অবশ্যই বিবেচনা করে দেখব।
পর্যবেক্ষক নীতিমালাদেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইসি। এক্ষেত্রে দেশি পর্যবেক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে বাড়িয়ে এইচএসসি করা হয়েছে। আর বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গত তিন নির্বাচনে ভুয়া প্রতিবেদন দাখিলকারীদের আর অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ বিষয়ে বলেন, ইতোমধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগআইন সংস্কারসহ ভোটের আলোচনা এগিয়ে নিতে ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়াচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে সমন্বয়ের ভিত্তিতে যেন দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়, সে লক্ষ্যেই এগুচ্ছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল যে ওনাদের ওখানে কী কী আলোচনা হচ্ছে এবং এটার জন্য নির্বাচন কমিশনের জন্য কোনো উপাত্ত আছে কি না। প্লাস আমরাও কোনো কিছু ফিট (যোগ) করতে পারি কি না। যে কারণে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর আমি এবং আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি গত মঙ্গলবার গিয়েছিলাম। আমরা ঐকমত্য কমিশনের সকল সম্মানিত ভাইস চেয়ার থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে আমরা মিট করেছি।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় যে আমরা উই আর অন সেইম পেজ, অ্যাটলিস্ট যেসব কমিউনিকেশনগুলো আমাদের নিয়মিতভাবে হওয়া দরকার সেগুলো কিছুটা আমরা করতে পেরেছি। আর ভবিষ্যতে কিভাবে কমিউনিকেশন গুলো হবে, বিকজ এখানে তো অনেকগুলো প্যারালাল কাজ হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনা করছে তার সঙ্গে ধরেন আরপিওর সংশোধনী রিলেটেড, যেটা আমরা আরপিও ড্রাফট করছি, সো এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আইনজীবী প্যানেলনির্বাচন এলে নানা জটিলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোনো মামলার কারণে ভোটের কার্যক্রমে বেশ প্রভাব পড়ে। প্রার্থিতা বাতিলের পর আবার আদালতের নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্তি, সীমানা নিয়ে মামলা, ভোটার তালিকা নিয়ে মামলাসহ বিভিন্ন রকমের মামলা হতে পারে। আর সে বিষয়গুলোকে সহজে সমাধানের জন্য আইনজীবী প্যানেলও রিভাইস করতে চাচ্ছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ নিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের যারা লয়ার থাকেন, এই লয়ারদের প্যানেলটাকে রিভাইজ করে হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাতে আরেকটু শক্তিশালী করা যায়।
ব্যালট ছাপানোর প্রস্তুতি ও অন্যান্য ক্রয়ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণ কাজে ২ লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজ লাগবে। এতে ব্যয় ধরা হয়ে হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এই চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। আশা করি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী উপকরণ ক্রয়ের কাজ শেষ হবে। সে কার্যক্রম চলছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২১ প্রকার ফরম, ১৭ প্রকার প্যাকেট, পাঁচ প্রকার পরিচয়পত্র, আচরণ বিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়েল, প্রশিক্ষণ ম্যানয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি মুদ্রণ কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক সংবলিত হয়ে থাকে। এ কারণে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা পাওয়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ পেপার স্বল্প সময়ের মধ্যে মুদ্রণপূর্বক মাঠ কার্যালয় সমূহে বিতরণ করতে হবে। অন্যান্য ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টার, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা ইত্যাদি সম্ভাব্য সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মুদ্রণ পূর্বক সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
নির্বাচনী ব্যয়ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য জাতীয় বাজেটে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে পরিচালন খাতে বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আশা করছি, বরাদ্দকৃত বাজেটেই প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন হবে। তবুও কোনো ঘাটতি দেখা দিলে পরে তা দেখা হবে। বাজেট নিয়ে বড় কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করছি।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, সরকারের ঘোষণার আলোকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, এবং তা ভালোভাবেই এগোচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাম্প্রতিক সাক্ষাতের পর নির্বাচনকে ঘিরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি, তবে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাজের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন।
বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ১৮ লাখ। সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া হালনাগাদ কার্যক্রমে ৪৪ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা পৌনে ১৩ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। পতিত আ’লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। তবে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার