ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২
ভারত কি সিন্ধু নদের পানি আটকে দিতে পারবে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ডুয়া ডেস্ক:ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক চিরকালই টানাপোড়েনপূর্ণ—সাপে-নেউলে বলা যায়। কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় এই বৈরিতা আরও চরমে উঠেছে। হামলার জেরে ভারত পাকিস্তানের জন্য ভিসা স্থগিতসহ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি সত্যিই পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত সিন্ধু ও এর শাখা নদীগুলোর পানি আটকে দিতে পারবে?
সিন্ধু চুক্তির পটভূমি ও শর্তাবলি
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে 'সিন্ধু জল চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদী—রাভি, বিয়াস, সুতলেজ, সিন্ধু, ঝেলাম ও চেনাব—শামিল রয়েছে।
এই চুক্তি অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের রাভি, বিয়াস ও সুতলেজ নদীর নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে, আর পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝেলাম ও চেনাব নদীর ৮০% পানি ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের।
ভারত শুধু সীমিত পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচের কাজে পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি ব্যবহার করতে পারে এবং নতুন প্রকল্প নিলে তা পাকিস্তানকে জানাতে হয়।
চুক্তি ভঙ্গের হুমকি ও ভারতীয় অবস্থান
বর্তমানে ভারত জানিয়েছে, তারা আর পাকিস্তানকে তথ্য জানাবে না। এমনকি চুক্তি থেকেও সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পানি প্রবাহ বন্ধ করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।
ভারতের পক্ষে পানি আটকানো কতটা সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষাকালে বিশাল পরিমাণ পানি আটকে রাখার মতো অবকাঠামো ভারতের নেই। বিদ্যমান বাঁধগুলো মূলত ‘রান-অফ-দ্য-রিভার’ প্রকল্প, যেখানে খুব বেশি পানি সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ড্যামস, রিভার্স অ্যান্ড পিপলের হিমাংশু ঠক্কর জানান, ভারতের বিদ্যমান বাঁধগুলো দিয়ে পানি আটকে রাখা সম্ভব নয় বরং এগুলো দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রবাহ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
চাপ প্রয়োগের সম্ভাব্য কৌশল
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ বা বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতের পক্ষে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে, বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে। তখন পাকিস্তান এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি টের পাবে। তবে তা ধীরে ধীরে এবং কৌশলগতভাবে হতে পারে।
পানি কি অস্ত্র হতে পারে?
বিশ্লেষকরা বলেন, পানি ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা বিপজ্জনক। ভারত যদি হঠাৎ পানি ছেড়ে দেয়, তাহলে নিজ দেশের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। তবে পাকিস্তানে পলি জমে নদীপ্রবাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভূরাজনৈতিক প্রভাব
সিন্ধু নদের উৎপত্তি তিব্বতে, যা চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই ভারত যদি সিন্ধুর ওপর কঠোর কৌশল নেয়, তাহলে চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ব্রহ্মপুত্র নদ নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে পারে, যেমনটা ২০১৬ সালে ঘটেছিল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত সাম্প্রতিক ম্যাচের পরিসংখ্যান
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার