ঢাকা, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জানুন রাতে কম ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক

২০২৫ নভেম্বর ২১ ২০:৪৪:৫০

জানুন রাতে কম ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক

ডুয়া ডেস্ক: অনেকেই প্রতিদিন নিজেকে মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন, “আজ তাড়াতাড়ি ঘুমাব।” কিন্তু কাজের চাপ, ফোন বা অন্যান্য স্ক্রিন দেখার অভ্যাসের কারণে রাতের ঘুম পিছিয়ে ২–৩টা বেজে যায়। পরদিন সকালে অফিস বা অন্যান্য কাজে ওঠার কারণে আবারও ৬–৭টার মধ্যে উঠে পড়া শুরু হয়। এভাবেই একটানা চলতে থাকে প্রতিদিনের একই রুটিন।

এই রুটিনের সঙ্গে অভ্যস্ত হলে অজান্তে নিজের শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন। দিনের কম ঘুম কেবল ক্লান্তি নয়, শরীরে গোপনভাবে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে ওজন বৃদ্ধি, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, দিনে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং শরীরে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। পুষ্টির শোষণ প্রক্রিয়াও ঠিকভাবে কাজ করে না। সহজ কথায়, শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলো ব্যাহত হয়।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে চিকিৎসক কুণাল সুদ জানিয়েছেন, কম ঘুম ওজন বৃদ্ধি বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঘুমের অভাবে ক্লান্তি থাকবেই, পাশাপাশি খাবারের প্রতি আগ্রহও বেড়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে লিভার অতিরিক্ত গ্লুকোজ রিলিজ করে, ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয় এবং প্রদাহও বৃদ্ধি পায়।

কম ঘুমে লেপ্টিন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, ফলে বারবার খিদে অনুভূত হয়। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাট জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ক্যালরি ইনটেক প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

যারা প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও এই অভ্যাসে থাকে।

চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকতে সঠিক খাবার-দাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি রাত জেগে ফোন বা স্ক্রিন দেখার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত