ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২

‘ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল’

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ ১২:২১:০২

‘ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান আসলে এক ধরনের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে অভিযোগ করেছেন, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েল অবৈধভাবে বসতি স্থাপন চালিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

৮৯ বছর বয়সী আব্বাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিসা না পাওয়ায় নিউইয়র্কে সরাসরি উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি বৃহস্পতিবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেন। তার ভাষায়, প্রায় দুই বছর ধরে গাজার মানুষ ধ্বংস, ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতি ও গণহত্যার মুখোমুখি হয়ে আসছে।

ভাষণের শুরুতেই আব্বাস ইসরায়েলের “গণহত্যামূলক যুদ্ধের” নিন্দা জানান। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৬৫ হাজার ৪১৯ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৬০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অগণিত লাশ চাপা পড়ে আছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে গাজায় নেওয়া হয়েছিল।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল গত দুই বছরে গাজার বেসামরিক জীবনের ভিত্তি ধ্বংস করেছে। পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মসজিদ এবং কবরস্থানও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগের আরেক তদন্তে জাতিসংঘ গাজার যুদ্ধকে “গণহত্যা” বলে আখ্যা দিয়েছিল।

তবে আব্বাস হামাসেরও সমালোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ৭ অক্টোবরের বেসামরিক হত্যা ও অপহরণ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ নয়। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে আব্বাস বলেন, চরমপন্থি ইসরায়েলি সরকার দখলদারিত্ব আরও বাড়াচ্ছে। নেতানিয়াহু প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না। তিনি এ নীতিকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবনার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।

শেষে আব্বাস যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি, বন্দি বিনিময় এবং গাজার জনগণকে তাদের ভূমিতে টিকে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানান।

একে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দায় কার?

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দায় কার?

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন,... বিস্তারিত