ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২
ট্রাম্পের সঙ্গে মুসলিম নেতাদের বৈঠক নিয়ে যা বললেন এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে এবং তিনি এর ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাম্পও বৈঠকটিকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ছাড়া সব শক্তিধর দেশের নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক সফল হয়েছে এবং এই দলটিই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
তবে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ডজন ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছেন এবং হাজার হাজার মানুষকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
এই বৈঠকে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতারা অংশ নেন। যদিও বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প চেয়েছিলেন আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় সেনা পাঠাতে সম্মত হোক। এর ফলে ইসরায়েল সেখান থেকে সরে যেতে পারবে এবং উপত্যকার পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল গাজার যুদ্ধ বন্ধ করা, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, জিম্মিদের মুক্তি এবং মানবিক সংকট মোকাবিলা।
এই পরিকল্পনার সাথে ইসরায়েলের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত রাখার বিষয়েও ভাবা হচ্ছে, যদিও ইসরায়েল আগেই এতে অসম্মতি জানিয়েছে। হামাসের কোনো ভূমিকা এই পরিকল্পনায় নেই; যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বলছে, হামাসকে অবশ্যই নিরস্ত্র ও নির্মূল করতে হবে।
এই বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে এবং বহু দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এসব স্বীকৃতিকে সমালোচনা করেছে এবং এটিকে হামাসকে 'হত্যাকাণ্ডের পুরস্কার' দেওয়ার মতো বলে অভিহিত করেছে। গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান নিয়ে দেশটি ক্রমেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একা হয়ে পড়ছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগালসহ অন্যান্য দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধিতা করছে। ট্রাম্প তার জাতিসংঘ বক্তৃতায় যুদ্ধের 'তাৎক্ষণিক' সমাপ্তির আহ্বান জানান, কিন্তু গাজার মানবিক সংকট নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবশ্য এর উল্টো মন্তব্য করে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র পাওয়া কোনো পুরস্কার নয়, বরং অধিকার। আল-জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থ ও অস্ত্রের সরবরাহও তাদের কাছ থেকেই আসে। তাই একমাত্র যিনি পরিস্থিতি বদলাতে পারেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্স ও সৌদি আরব আয়োজিত জাতিসংঘের এক সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো জানান, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে তার দেশ প্রস্তুত।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান,সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- এশিয়া কাপ: পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- উৎপাদন বন্ধ ৩০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ডিএসই
- তালিকাচ্যুত হচ্ছে পাঁচ ব্যাংক, বলির পাঠা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা!
- শেয়ারবাজারের ১২ কোম্পানির ২ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
- সিটি ব্যাংক পোর্টফোলিও ম্যানেজারের শেয়ার জালিয়াতি, তদন্তে বিএসইসি
- যেভাবে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে
- এনবিআর-এর ক্যাশ গেইন প্রতিক্রিয়া অতিরঞ্জিত: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ৬ কোম্পানিতে
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- নতুন দিগন্তে বেক্সিমকো, শেয়ারবাজারে আশার আলো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানাল তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নতুন আবেদন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু সিরামিক
- ঝড়ের গতিতে উত্থান, রকেটের গতিতে পতনের শেয়ার