ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে একমি পেস্টিসাইডসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৭:৩৬:৪২

শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে একমি পেস্টিসাইডসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিএসইসি’র ৯৭৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। সভায় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের শেয়ারের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ না করেও একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান প্লেসমেন্টে জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চারজন সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা হলেন— চেয়ারম্যান শান্তা সিনহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউর রহমান সিনহা, পরিচালক আহসান হাবিব সিনহা ও কে এম হেলুয়ার, কোম্পানি সচিব সবুজ কুমার ঘোষ এবং চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার সেলিম রেজা।

এছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও জড়িত বলে ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন— মো. আফজাল হোসেন, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মো. মতিউর রহমান, বিক্রমপুর পটেটো ফ্লেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, তফাজ্জল হোসেন ফরহাদ, জাভেদ এ মাতিন, বেঙ্গল অ্যাসেটস হোল্ডিংস লিমিটেড, চট্টগ্রাম পেস্টিসাইডস অ্যান্ড ফিশারিজ লিমিটেড, হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আনজুমান আরা বেগম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সরওয়ার, এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এমডিএ), তৌহিদা আক্তার, মো. রুহুল আজাদ এবং রানু ইসলাম। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে তারা শেয়ারের বিপরীতে কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি। ফলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

অন্যদিকে, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এসইএমএল) প্রসপেক্টাসে মিথ্যা ও অসংগত তথ্য দাখিল করে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে এবং শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা আনতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে বিএসইসি’র এই অবস্থান ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।

এএসএম/

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত