ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে সূচকের পতন ঘটলেও লেনদেনের শক্তিশালী ধারা বিনিয়োগকারীদের জন্য এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সূচক ওঠানামা স্বাভাবিক হলেও লেনদেনের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে যে বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন না, বরং অনেকেই এই পতনকে নতুন করে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময় হিসেবে দেখছেন।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবে রবিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হলেও, এরপর টানা তিন দিনে সূচক ১৭৩ পয়েন্ট কমে যায়। তবে, সূচকের এই পতনের মধ্যেও দৈনিক লেনদেন ৯৫০ কোটি টাকার উপরে অবস্থান করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই স্থিতিশীল লেনদেন বাজারের তারল্যের প্রমাণ এবং এর মৌলিক শক্তিকে নির্দেশ করে। একটি ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন "সূচক ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু লেনদেনের পরিমাণ প্রমাণ করে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অটুট রয়েছে। এই ধরণের পতন আতঙ্কের নয়, বরং ভালো শেয়ার কেনার সুযোগ।"
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, যারা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে মৌলভিত্তিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য এই সময়টিই ভবিষ্যতে লাভবান হওয়ার সেরা সুযোগ হতে পারে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ (বুধবার) ডিএসইতে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরেই তা পতনে রূপ নয়। এরপর আবারও সূচকের উত্থান ঘটে। পরবর্তীতে সূচকের স্বাভাবিক উঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলতে থাকে। কিন্তু দুপুর পৌনে ১টার পর সূচকের একটানা পতন ঘটে, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দিনশেষে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫.১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৩.১৪ পয়েন্টে। এদিন অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১৫.৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৮.২২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২২.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১২৯.৯০ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৩টির দর বেড়েছে, ৩১৩টির দর কমেছে এবং ৪১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে আজ মোট ৯৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এদিকে, অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে।
এদিন সিএসইতে ২৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে ১৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল।
আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ১৮৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৫.৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫.২৫ পয়েন্টে। আগেরদিন সূচক সিএএসপিআই ২১৪.১৩ পয়েন্ট বেড়েছিল।
এসএক/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং