ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ চায় সরকার, নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘদিনের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
জানানো হয়, সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূস প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা মান ও কর্মপরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ড. ইউনূস জানতে চান, কোন কোন বিদ্যালয় ভালো করছে এবং কী কারণে কিছু বিদ্যালয় পিছিয়ে পড়ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় বৈঠকে জানান, বিপুল বিনিয়োগ করা হলেও দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা মান অর্জিত হয়নি। চলমান মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রধান শিক্ষক যোগ্য ও নেতৃত্বদানে সক্ষম, সেই স্কুলগুলোতেই শিক্ষার মান তুলনামূলক ভালো। দেশের প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে বলে জানানো হয়।
এ প্রেক্ষিতে ড. ইউনূস এসব শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত, তাঁরা যেন অগ্রাধিকার পান, তবে পাশাপাশি তরুণদের অংশগ্রহণের সুযোগও থাকতে হবে।
তিনি একটি স্বচ্ছ, ক্যাটাগরিভিত্তিক এবং সময়োপযোগী নিয়োগ প্রক্রিয়া গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দেন।
বদলি নীতিমালায় পরিবর্তনের নির্দেশপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রেই স্বচ্ছ নয়। অনেকে এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে শহরের কাছাকাছি বদলির জন্য সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এ চর্চা বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি। শুধুমাত্র নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বদলি হতে হবে।
নারীবান্ধব অবকাঠামো ও ডিজিটাল শিক্ষা পরিবেশ গড়ার তাগিদবৈঠকে মেয়েদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নারীবান্ধব হতে হবে। ভবন নির্মাণ কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট সংযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ সুবিধার আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই করতে হলে নেতৃত্ব, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তির সুষম সংমিশ্রণ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৭ কোম্পানি