ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২
হামলার ঘটনাকে 'ধস্তাধস্তি' উল্লেখ করে জবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি
.jpg)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষক ও ছাত্রনেতাদের ওপর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হামলার ৭২ ঘণ্টা পর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। তবে বিবৃতিতে পুরো ঘটনাকে ‘ধস্তাধস্তি’ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গত ১০ জুলাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ব্যাপারে উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) এক নেতাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও শৃঙ্খলার পরিবেশকে বিঘ্নিত করেছে।'
হামলার ঘটনাকে ধস্তাধস্তি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এম রিফাত হাসান ও সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ‘ধস্তাধস্তির’ ঘটনাটি নিন্দনীয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার পরিপন্থি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজের নিরাপত্তা, সম্মান ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় শিক্ষক সমিতি সর্বদা সচেষ্ট এবং আপসহীন অবস্থানে রয়েছে।'
বিবৃতিতে ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, “শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ঘটনাটির বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ঘটনার সূচনার কারণ অনুসন্ধান এবং তৎপরবর্তীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করছি। একইসাথে একটি নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও জ্ঞানচর্চার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।”
এদিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে, হামলার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
তাকে রক্ষা করতে গেলে বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং গালিগালাজ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া শাখা ছাত্রসংগঠন বাগছাস-এর সভাপতি মো. ফয়সাল মুরাদ, মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুককেও ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে একইভাবে হামলা করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা