ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মুখ খুললেন নেতানিয়াহু

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুন ২৪ ১২:৫৩:৩৯
যুদ্ধবিরতি নিয়ে মুখ খুললেন নেতানিয়াহু

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলাকালীন গত ২১ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। এর জবাবে তেহরান সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে পাল্টা হামলা চালায়। এই উত্তেজনার মধ্যে মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন ইসরায়েল ও ইরান ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এ সময় ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরে বাংলাদেশ সময় ২৪ জুন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিভিন্ন ইরানি-ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এরপর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্মতি দিয়েছেন। তবে ইসরায়েল স্পষ্ট করে জানায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। আরও বলা হয়, ইরানে টানা দুই সপ্তাহের অভিযানে ইসরায়েল তাদের মূল লক্ষ্যগুলো পূরণ করেছে এবং ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি সফলভাবে নিরসন করেছে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ইরানের সামরিক নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোতে কার্যকরভাবে হামলা চালিয়েছে। সেইসঙ্গে ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন অভিযানে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাতভর ইসরায়েল কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের হামলা শুরু করে। এই অভিযানে তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক এলাকাগুলো টার্গেট করা হয়। এতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি, মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদসহ অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রায় ৫০০ জন নিহত হন।

এর পাল্টা প্রতিশোধে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালু করে। তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। যদিও হতাহতের সংখ্যা কম তবে ক্ষয়ক্ষতি ছিল ব্যাপক।

এইসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা কতটা স্থায়ী হবে—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এখনও সংশয় রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত