ঢাকা, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
অভিবাসী বিক্ষোভ থেকে উত্তপ্ত মার্কিন রাজনীতি
.jpg)
লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী ধরপাকড়ের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মার্কিন রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে শুরু হয়েছে কঠোর বাকযুদ্ধ।
ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস মারফি এক টুইটে বলেন, "ট্রাম্প শান্তি চান না, তিনি বিভাজন ও উত্তেজনা উসকে দিতে চান। তাঁর আন্দোলন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সুযোগ পেলে তাঁরা আইনের শাসনের অবসান ঘটাবেন।"
আরেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর কোরি বুকার বলেন, "ক্যালিফোর্নিয়ার অনুমতি ছাড়াই ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন অসাংবিধানিক এবং তাতে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলার সময় নীরব ছিলেন এবং পরে হামলায় যুক্ত অনেককে তিনি ক্ষমাও করে দিয়েছেন।"
মার্কিন অভিবাসন দপ্তর আইসির ধরপাকড়ের প্রতিবাদে গত রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ফেডারেল ভবনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় অন্তত ছয়টি সামরিক যান ও দাঙ্গা প্রতিরোধ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় টিয়ার গ্যাস।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামের মধ্যে মুখোমুখি অবস্থান ও বাকযুদ্ধ দেখা দেয়। গভর্নর নিউসাম বলেন, "ট্রাম্প শুধু নাটক দেখাতে চান। এটা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার।’ ট্রাম্প পাল্টা অভিযোগ করেন, নিউসাম নিজ রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।"
তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন অনেক রিপাবলিকান নেতা। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, "আমরা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার নীতি অনুসরণ করি, যা বিদেশ ও দেশের ভেতর দুটিতেই প্রযোজ্য। এটা কঠোর পদক্ষেপ নয়।"
রিপাবলিকান সেনেটর জেমস ল্যাংকফোর্ড বলেন, "আসলে ট্রাম্প উত্তেজনা প্রশমিত করার চেষ্টা করছেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে নানা বস্তু ছুড়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "২০২০ সালে সিয়াটল ও পোর্টল্যান্ডে বর্ণবৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভের সময়ও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল।"
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান অভিবাসনবিরোধী ধরপাকড় ও তা ঘিরে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ জাতীয় পর্যায়ে অভিবাসন নীতি, নাগরিক প্রতিবাদের অধিকার এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কেও নতুন করে প্রশ্ন তুলছে এই ঘটনা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চান বিনিয়োগকারীরা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- শেয়ারবাজারের ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করতে রোডম্যাপ ঘোষণা
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির