ঢাকা, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম প্রকাশ

ইলন মাস্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মোড় এনে দিয়েছে। টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামতে যাচ্ছেন, তাও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধের মধ্য দিয়ে। মাস্ক ঘোষণা করেছেন, তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকা বিপুল সংখ্যক সাধারণ নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করা।
এই পরিবর্তন হঠাৎ এলেও তার পেছনে রয়েছে এক বছরের মতো সময়ের উত্তাল সম্পর্ক-পরিবর্তন। ২০২৪ সালে মাস্ক ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ট্রাম্পপন্থী একটি রাজনৈতিক গ্রুপকে ২৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছিলেন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনে একটি বিশেষ পদেও নিযুক্ত হন। সেই পদ ছিল ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ বা ডজ-এর সহ-প্রধান, যার উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অপচয় হ্রাস এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা।
কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাজেট পরিকল্পনা ও নীতির বিরোধিতা করে মাস্ক তার অবস্থান থেকে সরে যান। বিশেষ করে ট্রাম্পের ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কর ও ব্যয় বিলকে মাস্ক ‘জঘন্য ও বেহায়াপনা’ বলে আখ্যা দেন। এরপর থেকেই দুই জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্য হয়ে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মাস্ক একটি জরিপ চালান, যেখানে তিনি প্রশ্ন রাখেন— যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় কি এসেছে, যা মাঝামাঝি অবস্থানের ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে? ৫৬ লাখের বেশি মানুষ জরিপে অংশ নেন এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ এই ধারণার পক্ষে রায় দেন।
এরপর মাস্ক জানিয়ে দেন, তিনি জনগণের মতামতকে সম্মান জানিয়ে ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্পও চুপ থাকেননি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্পেসএক্স ও টেসলার সঙ্গে সরকারের সব ধরনের চুক্তি বাতিল করা হতে পারে। পাল্টা জবাবে মাস্ক ট্রাম্পকে শিশু পাচার মামলায় অভিযুক্ত জেফরি অ্যাপস্টেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলেন এবং ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি করেন।
এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারেও। ট্রাম্প-মাস্ক বিরোধ প্রকাশ্যে আসার পরদিনই টেসলার শেয়ার ১৪ শতাংশ এবং ট্রাম্প মিডিয়ার শেয়ার ৮ শতাংশ পড়ে যায়। যদিও পরদিন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় কোম্পানিগুলোর শেয়ার। রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে কেউ কেউ ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে মনে করছেন এটি একটি প্রাক-নির্বাচনী কৌশল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চান বিনিয়োগকারীরা
- প্রথমবারের মতো লোকসানে কোম্পানি, ডিভিডেন্ডও তলানিতে
- শেয়ারবাজারের ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করতে রোডম্যাপ ঘোষণা
- ডিএসইর চোখে বাজেট শেয়ারবাজারবান্ধব
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- শেয়ার কারসাজির দায়ে হিরু-সাকিবদের ২০৮ কোটি টাকা জরিমানা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'