ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অতিরিক্ত পরিশ্রম মস্তিষ্কের যে ক্ষতি করছে

ডুয়া নিউজ- লাইফস্টাইল
২০২৫ মে ১৭ ১৭:৪৯:১৭
অতিরিক্ত পরিশ্রম মস্তিষ্কের যে ক্ষতি করছে

ডুয়া ডেস্ক: সারাদিন অফিসের চাপ, বাসার দায়িত্ব, রাস্তায় যানজট—সব মিলিয়ে দিন শেষে নিঃশেষিত অনুভব করেন অনেকেই। কাজের চাপে নিজের জন্য সময় বের করাও যেন এক রকম অসম্ভব। অনেক সময় ঘুমও ঠিকমতো হয় না। কিন্তু এই ক্লান্তির প্রভাব কি কেবল শারীরিক? না, নতুন গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত কাজ মস্তিষ্কে ফেলতে পারে গুরুতর প্রভাব।

অক্যুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। এতে দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ৫২ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাদের মস্তিষ্কের সেই অংশে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যা আবেগ নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতিশক্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষণায় ১১০ জন কর্মীর মধ্যে ৩২ জন বেশি সময় কাজ করতেন এবং বাকিরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টায়। দেখা গেছে, যারা বেশি সময় কাজ করতেন, তাদের ফ্রন্টাল জাইরাস, সুপেরিয়র ফ্রন্টাল জাইরাস এবং ইনসুলা অংশে কাঠামোগত পরিবর্তন হয়েছে। এই অংশগুলো আবেগ, মনোযোগ, সিদ্ধান্ত, স্মৃতি এবং পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

মানসিক স্বাস্থ্যেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবগবেষকেরা বলছেন, কাজের চাপে মস্তিষ্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত পরিশ্রম হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

তবে গবেষণাটির সীমাবদ্ধতা আছে বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা। তারা বলছেন, এই ছোট পরিসরের গবেষণা থেকে এটি নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে, মস্তিষ্কের এসব পরিবর্তনের একমাত্র কারণ বেশি সময় কাজ করা। তবে এটি ভবিষ্যৎ গবেষণার একটি ভিত্তি হতে পারে।

কী করা উচিত?গবেষকেরা পরামর্শ দিয়েছেন, কর্মঘণ্টা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপকদের উচিত কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা। কারণ, স্বাস্থ্যবান মস্তিষ্ক মানেই দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মশক্তি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত