ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ইন্টারনেট প্রাপ্তিকে নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
.jpg)
ডুয়া নিউজ: এবার ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। এ মাসেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের (টিআরএনবি) আয়োজনে ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ফয়েজ আহমেদ বলেন, “দেশে ইন্টারনেট সেবার মান নিকৃষ্ট এবং দামও বেশি। এ সময় ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস করার ঘোষণা দেয় আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন।”
বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা নিকৃষ্ট উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ইন্টারনেট যেন আর কোন সরকার চাইলেই বন্ধ করতে না পারে সেজন্য এটিকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে নাগরিক অধিকার হিসেবে ।
ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, “বাংলাদেশে যে ইন্টারনেট কোয়ালিটি, এটা পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এই নিকৃষ্ট পণ্য আপনি একটা মধ্য মানের ভ্যালুতে বিক্রি করেন। আপনি যদি এখানে কোয়ালিটি বাড়ান তাহলে বর্তমান বেঞ্চমার্কে আসলে এটার দাম অনেক বেশি পড়ে। পৃথিবীর বহু দেশ এটাকে বেসিক হিউম্যান রাইটস হিসেবে ডিক্লেয়ার করেছেঅ। আমরাও আমাদের সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্সে, যেটা এ মাসে পাশ হবে সেখানে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি।”
বৈঠকে ইন্টারনেটের দাম ও সেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যার তুলে ধরেন অংশীজনেরা। এ সময় ইন্টারনেট সেবার লাইসেন্স জটিলতা নিরসন, পরিচালন ব্যয় কমানো, অ্যাকটিভ শেয়ারিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানান তারা। এ সময় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, গ্রাহক পর্যায়ে ব্যান্ডউইডথ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, “সরকারের যে উদ্দেশ্য বিশেষ করে ২০ এমবিপিএস, আসলে অদূর ভবিষ্যতে ২০ এমবিপিএসও সম্ভব হবে না, আরও বেশি সেবা আমরা দিতে চাই। আর আজ থেকে ৫ এমবিপিএসের প্যাকেজটা আমরা রাখব না। এটা ১০ এমবিপিএস হবে।”
ইন্টারনেট সেবার মান বাড়াতে সংস্কারের কথা জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। তিনি জানান, “এতো দিন ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সের বদলে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে।”
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, “ফিক্সড টেলিকমিউনিকেশনের একটা লাইসেন্স হবে। এই লাইসেন্সে আপনি কোথায় ইন্টারনেট দেবেন, থানা দেবেন নাকি জেলায় দেবেন, এটা আপনার ওপর নির্ভর করবে। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অত বিনিয়োগ নেই, তাদের জন্য আমরা লাইসেন্সিংও বাতিল করে দিতে চাই। আপমরা চাই সিম্পলি রেজিস্ট্রেশন করে, কল সেন্টার যেরকম হয়, যাতে যে কেউ এ ব্যবসায় চলে আসতে পারে।”
বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা মত দেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট সেবার মান কোন স্তরে উন্নীত করা হবে, সে বিষয়ে সরকারকে এখনই একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু