ঢাকা, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২

তাসকিন-মুস্তাফিজের লড়াই: দেখুন ফলাফল

২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:১২:৪৭

তাসকিন-মুস্তাফিজের লড়াই: দেখুন ফলাফল

সরকার ফারাবী: আইএলটি–২০ লিগে বাংলাদেশি দুই পেসারের মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ীর মুকুট উঠল মুস্তাফিজুর রহমানের দলে। তাসকিন আহমেদের শারজাহ ওয়ারিয়র্সকে ৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দাপুটে জয় তুলে নিল দুবাই ক্যাপিটালস। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটে ও বলে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতেই রেখেছে দুবাই।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শারজাহ ওয়ারিয়র্স। সিদ্ধান্তটি যে শুরুতেই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে, তার আভাস মেলে দ্বিতীয় ওভার থেকেই। যদিও প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে দুবাই ক্যাপিটালস, তবে দ্রুতই ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন আফগান ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল।

শারজাহর হয়ে বোলিংয়ে প্রথম পরিবর্তন হিসেবে আসা তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারে ১২ রান খরচ করেন। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ছন্দ ফেরান বাংলাদেশের এই পেসার। ১৯ বলে ২৮ রান করা ইংলিশ ব্যাটার জর্ডান কক্সকে ফিরিয়ে এনে প্রথম সাফল্যের দেখা পান তিনি।

এরপর আতাল ও লুইস ডি প্লয়ের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৩৩ রানের কার্যকর জুটি। ডি প্লয় ১৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসের গতি ধরে রাখেন আতাল। রভম্যান পাওয়েল বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও চাপ সামলে দারুণ দৃঢ়তায় এগোতে থাকেন আফগান এই ওপেনার।

১৮তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ৪৮ বলে ৬৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলা সেদিকুল্লাহ আতালকে ফেরান তিনি। শেষ ওভারেও নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দুবাই অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে আউট করেন তাসকিন। চার ওভারে ৪০ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন এই টাইগার পেসার।

শেষদিকে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর ঝড়ো ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের শক্ত ভিত গড়ে দুবাই ক্যাপিটালস।

১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে শারজাহ ওয়ারিয়র্স। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে জনসন চার্লসকে ফিরিয়ে দিয়ে চাপ বাড়ান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর হায়দার আলীর জোড়া আঘাতে থেমে যায় টম অ্যাবেল ও টম কোহলার–ক্যাডমোরের ইনিংস।

অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও জেমস রিউ কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। দুজন মিলে ৩৯ রানের জুটি গড়লেও রাজার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২১ রান। এরপর মোহাম্মদ নবী ও ওয়াকার সালামখিলের ধারাবাহিক আঘাতে ম্যাচ পুরোপুরি শারজাহর নাগালের বাইরে চলে যায়।

১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আদিল রশিদের উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ওই ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করে নিজের নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নবীর আঘাতে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় শারজাহ ওয়ারিয়র্স।

মুস্তাফিজুর রহমান ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। ব্যাটে আতালের দৃঢ়তা ও বলে মুস্তাফিজদের শাসনে ৬৩ রানের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুবাই ক্যাপিটালস।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত