ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন ও এআই বিনিয়োগ উদ্বেগে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে অস্থিরতা

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৫:০০:১৫

যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন ও এআই বিনিয়োগ উদ্বেগে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে অস্থিরতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সরকারের দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অতিরিক্ত বিনিয়োগের আশঙ্কা—এই দুই কারণকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদামে চাপ থাকায় বাজারে অস্থিরতা বাড়ে।

২০২৫ সাল জুড়ে বড় বড় মার্কিন ইক্যুইটি সূচকগুলোকে বারবার রেকর্ডের শিখরে পৌঁছে দেওয়া বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর শেয়ারের দাম শুক্রবার বেশিরভাগ সময় চাপের মধ্যে ছিল, যদিও সেশনের শেষ দিকে কয়েকটি বড় নাম সামান্য ইতিবাচক অবস্থানে ফেরে। তবে দিনের শেষে মার্কিন স্টক বাজার মিশ্রভাবে শেষ হয়। ডাও জোনস এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক সামান্য ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও, নাসডাক নিম্নগামী হয়ে দিন শেষ হয়।

এদিকে শেয়ারের অতিমূল্যায়ন ও নতুন এআই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে কি না, তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। ভেন্টুরা ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের টম ক্যাহিল বলেন, ডেটা সেন্টার প্রকল্পের লাভজনকতা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং শাটডাউনের প্রভাব বাজারে চাপ বাড়াচ্ছে। তিনি আরও জানান, শ্রমবাজার শীতল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এবং শুল্কনীতি ও সরকারি অচলাবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে নিয়োগ ও খরচের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এআই বাবল নিয়ে উদ্বেগকে গুরুত্বহীন বলে মন্তব্য করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এআইকে খুবই উপকারী মনে করি। এটি ভবিষ্যৎ, এবং এই ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি।”

দিনের শেষ দিকে ডেমোক্র্যাটিক সিনেট নেতা চার্লস শুমারের দেওয়া সমঝোতা প্রস্তাবে বাজার কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও রিপাবলিকান নেতারা দ্রুত তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে অচলাবস্থা আরও কতদিন চলবে তা অনিশ্চিত থেকে যায়, যা অর্থনীতির ক্ষতি আরও বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সরকারের অচলাবস্থার কারণে নভেম্বরে ভোক্তা আস্থা কমে গেছে। এর আগের দিন প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে ছাঁটাইয়ের হার ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাশাপাশি শাটডাউনের কারণে বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফ্লাইট সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয় প্রশাসন, যার ফলে শত শত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

এদিকে চীনের রপ্তানি আট মাস পর প্রথমবার হ্রাস পাওয়ায় বৈশ্বিক বাজারে অতিরিক্ত চাপ যোগ করে।

লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচকও সেদিন নিম্নমুখী ছিল। রাইটমুভ এবং আইএজি-র শেয়ারদর প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আয় ঘোষণা করায় সূচকটি বড় চাপের মুখে পড়ে।

এমজে/

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত