ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ পাঁচ শিশু

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ০৯:৩০:৩১

ব্লাড ব্যাংকের রক্ত নিয়ে এইচআইভি পজিটিভ পাঁচ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার সরকারি সদর হাসপাতালে ব্লাডব্যাংক থেকে নেওয়া রক্তের মাধ্যমে ভারতের পাঁচটি শিশু এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন। ঘটনার প্রকাশের পর হাসপাতালের সিভিল সার্জন, এইচআইভি ইউনিটের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ভুক্তভোগী পরিবারদের জন্য দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। বিবিসির প্রতিবেদনে এই শিশুদের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সংক্রমিত রক্তের কারণে এই শিশুরা এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন।

একজন শিশুর মা জানান, “গত সেপ্টেম্বর মাসে আমি মেয়েকে রক্ত দেওয়ার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আচরণ দেখে আমার সন্দেহ হয়। পরে এক স্বাস্থ্যকর্মী আমাকে জানালেন, ভুল রক্ত দেওয়ার কারণে আমার মেয়ে এইচআইভি পজিটিভ হয়ে গেছে।”

কীভাবে সংক্রমণ ঘটল?প্রথম প্রশ্ন হলো, সংক্রমিত রক্ত কোথা থেকে এসেছে। স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কুমার জানান, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে জেলায় মোট ২৫৯ জন দাতা রক্ত দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ জন শনাক্ত করা হয়েছে এবং চারজন দাতা নিশ্চিতভাবে এইচআইভি পজিটিভ ছিলেন। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলমান, যাতে অন্যান্য সংক্রমিত দাতা শনাক্ত করা যায়।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, শিশুদের সংক্রমণের জন্য দায়ী কে? সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশী অভিযোগ করেছেন, সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলা এই ঘটনার জন্য দায়ী। তবে ঝাড়খণ্ডের বিশেষ স্বাস্থ্য সচিব ডা. নেহা অরোরা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।

ডোনারদের রক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কেও তিনি বলেন, “প্রি-কিট ব্যবহার করলে উইন্ডো পিরিয়ড বড় হওয়ায় রোগী (এইচআইভি) পজিটিভ কিনা তা দেরিতে ধরা পড়ে। তবে এলিসা বা এনএটি টেস্টে ভাইরাস দ্রুত শনাক্ত করা যায়। তাই এখন থেকে প্রি-কিট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

অ্যাক্টিভিস্ট অতুল গেরা, যিনি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের জন্য কাজ করেন, অভিযোগ করেছেন, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি থ্যালাসেমিয়া রোগী থাকলেও পুরো রাজ্যে মাত্র একজন হেমাটোলজিস্ট রয়েছেন। এর ফলে রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত