ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

ইউটিএল-এর বিবৃতি

'চব্বিশের জুলাইয়ের পরিবর্তন আধুনিক রাষ্ট্রগঠনের নতুন আশা সৃষ্টি করেছে'

২০২৫ নভেম্বর ০৭ ২১:২৩:৫৪

'চব্বিশের জুলাইয়ের পরিবর্তন আধুনিক রাষ্ট্রগঠনের নতুন আশা সৃষ্টি করেছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জাতীয় ও রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্ববহ দিন হিসেবে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালন করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)। দিবসটি উপলক্ষে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা, মতাদর্শিক বিভাজন ও রাষ্ট্রীয় সংকটের প্রেক্ষাপটে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবী সিপাহী ও জনতা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষায় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। এ আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক পুনর্গঠন, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।

নেতারা আরও বলেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে এসে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতার চেতনা ও ইসলামী মূল্যবোধসমৃদ্ধ রাষ্ট্রচিন্তাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বে প্রশাসনিক পুনর্গঠন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কূটনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় নতুন অগ্রগতি সূচিত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ অগ্রযাত্রা পরবর্তীতে নানাভাবে ব্যাহত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক চব্বিশের জুলাইয়ের পরিবর্তন দেশবাসীর মধ্যে গণতান্ত্রিক, কল্যাণমুখী ও ধর্মীয় মূল্যবোধনির্ভর আধুনিক রাষ্ট্রগঠনের নতুন আশা সৃষ্টি করেছে।

মহান এ দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সব দেশপ্রেমিক সৈনিক, নাগরিক ও নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ইউটিএল নেতারা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষকে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সামগ্রিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

ইউটিএল একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈশ্বিকভাবে মর্যাদাশীল এবং ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানায়।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত