ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২
ডোপামিন ডিটক্স: মনোযোগ পুনরুদ্ধার ও মানসিক শান্তির উপায়
ডুয়া ডেস্ক: আজকের হাইপারকানেক্টেড যুগে আমাদের মনোযোগ ক্রমাগত বিভ্রান্ত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন, অবিরাম স্ক্রলিং, একের পর এক ভিডিও দেখা এবং ডিজিটাল মাল্টিটাস্কিং সবই আমাদের মনকে ছোট ছোট আনন্দের দিকে আকৃষ্ট করে। এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা তাৎক্ষণিক তৃপ্তি কামনার জন্য প্রশিক্ষিত করে। ঠিক এই সময়েই ডোপামিন ডিটক্সের ধারণা গুরুত্ব পাচ্ছে, যা অনেককে মনোনিবেশ পুনরায় অর্জন ও মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে সহায়ক।
ডোপামিন হলো মস্তিষ্কের সেই রাসায়নিক যা আনন্দ, পুরষ্কার, প্রেরণা এবং সন্তুষ্টি অনুভূতির সময় নিঃসৃত হয়। প্রতিবার কেউ কোনো কার্যকলাপে আনন্দ পায়, যেমন সামাজিক পোস্টে লাইক বা প্রিয় খাবার খাওয়া, তখন ডোপামিন নিঃসৃত হয়। এতে ব্যক্তি পুনরায় সেই কার্যকলাপে যুক্ত হতে আগ্রহী হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও গেম এবং অবিরাম খাবারের মতো ক্ষুদ্র আনন্দগুলোতে মস্তিষ্ক যখন অভ্যস্ত হয়, তখন ধীর এবং অর্থপূর্ণ কার্যকলাপে আনন্দ পাওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে ডোপামিন ডিটক্স প্রয়োজন হয়। এটি ডোপামিন সম্পূর্ণ বন্ধ করার অর্থ নয়, বরং অতিরিক্ত উত্তেজনা থেকে বিরতি নিয়ে স্বাভাবিক ডোপামিন নিয়ন্ত্রণ পুনরায় সেট করার প্রক্রিয়া।
ডোপামিন ডিটক্স কী?
ডোপামিন ডিটক্স বলতে বোঝায় এমন সময়কাল, যখন ব্যক্তি তাৎক্ষণিক তৃপ্তি প্রদানকারী কার্যকলাপ থেকে ইচ্ছাকৃত বিরতি নেন। এর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপিং, জাঙ্ক ফুড, ভিডিও স্ট্রিমিং এবং অতিরিক্ত কথাবার্তা বা জোরে গান শোনা।
এই অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপের প্রতি সচেতন হতে পারি। ক্রমাগত ছোট আনন্দ খোঁজা বন্ধ করে, দীর্ঘমেয়াদী তৃপ্তি দেয় এমন কার্যকলাপে পুনরায় মনোনিবেশ করা যায়, যেমন পড়া, ধ্যান, ব্যায়াম বা প্রকৃতিতে সময় কাটানো।
ডোপামিন ডিটক্সের উপকারিতা:
১. উন্নত মনোযোগ: ডিটক্সের মাধ্যমে ক্রমাগত নোটিফিকেশন এবং ডিজিটাল শব্দ থেকে বিরতি নেওয়া যায়। এতে মন গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করতে সক্ষম হয়।
২. মানসিক নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত উত্তেজনা মেজাজের পরিবর্তন বা বিরক্তির কারণ হতে পারে। ডিটক্সিং মানসিক ভারসাম্য ও প্রশান্তি ফিরিয়ে আনে।
৩. উন্নত প্রেরণা: সহজ আনন্দ এড়ালে মস্তিষ্ক আবার প্রচেষ্টা-ভিত্তিক পুরষ্কারকে মূল্য দিতে শুরু করে। এতে অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধি পায়।
৪. চাপ ও উদ্বেগ হ্রাস: ডিজিটাল সংযোগ থেকে বিরতি মনের জন্য বিশ্রাম প্রদান করে, চাপ হ্রাস করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে।
৫. শক্তিশালী মননশীলতা ও উপস্থিতি: স্ক্রিন থেকে বিরতি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতায় আরও উপস্থিত থাকা যায়, অন্যদের এবং পরিবেশের সঙ্গে সংযোগও বৃদ্ধি পায়।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল