ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

ই’রান ও তুরস্ককেও বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে ই’স’রাইল

২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৩:৫১:২৭

ই’রান ও তুরস্ককেও বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে ই’স’রাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :তুর্কি রাজনৈতিক বিশ্লেষক লেভেন্ত গুলতেকিন বলেছেন, ইসরাইল এই অঞ্চলে কোনো শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রকে টিকে থাকতে দিতে চায় না। ইরাক ও সিরিয়ার পর এবার ইরান এবং তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করছে তারা। ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, গুলতেকিন তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এসব মন্তব্য করেন।

তার দাবি, ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় কৌশল বাস্তবায়ন করছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা প্রথমে ইরাক ও পরে সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করেছে। এখন একই পরিকল্পনা ইরান ও তুরস্ককে কেন্দ্র করে সাজানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ইরান বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম প্রধান ভূরাজনৈতিক ইস্যু, যা তুরস্ককেও প্রভাবিত করছে।

গুলতেকিনের মতে, গাজা যুদ্ধের পর আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি প্রচেষ্টা দেখা গেলেও ইসরাইল তাদের মূল লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। তাদের উদ্দেশ্য হলো, অঞ্চলের সম্ভাব্য শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো—ইরান, তুরস্কসহ অন্যান্য রাষ্ট্রকে ভেঙে দুর্বল করে দেওয়া। তিনি বলেন, ইসরাইল মনে করে গাজার সংকট একদিন না একদিন মিটে যাবে, কিন্তু এরপর তাদের লক্ষ্য হবে অন্যান্য মুসলিম দেশ।

তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ইরানের বিরুদ্ধে বৈরিতা আবারও বেড়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসামূলক মন্তব্যও উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, ট্রাম্প একদিকে এরদোগানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেন, অন্যদিকে তুর্কি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

গুলতেকিন জানান, প্রতিটি বক্তৃতাতেই ট্রাম্প তুরস্কের সামরিক শক্তির প্রশংসা করেন এবং সিরিয়ায় তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তবে এর মধ্যেও ইসরাইল তাদের “নতুন মধ্যপ্রাচ্য” পরিকল্পনা পরিত্যাগ করেনি। গুলতেকিনের ভাষায়, ইরানে ইসরাইলের লক্ষ্য শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং দেশটিকে তিন বা চারটি অংশে বিভক্ত করা।

আগেও তিনি বলেছিলেন, ইরানি জনগণ এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক শক্তিশালী উদাহরণ এবং অন্যদের উচিত তাদের কাছ থেকে মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত