ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

বই ছাপানোতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১২:৫৭:৪৯

বই ছাপানোতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই ছাপার কাজে সরকারি অর্থের অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে নতুন করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করে সরকারি তহবিল আত্মসাতের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। প্রেস মালিকদের সঙ্গে যোগসাজশে এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এনসিটিবি কার্যালয়ে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অভিযানে টিম এনসিটিবির বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন করে প্রাসঙ্গিক রেকর্ড সংগ্রহ করেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে নানা ধরনের অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার, মুদ্রণের মানহীনতা, বাঁধাই ত্রুটি এবং কিছু প্রেসের মালিকদের সঙ্গে অসাধু যোগসাজশের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই কমিশনে প্রতিবেদনের মাধ্যমে দাখিল করা হবে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের বই ছাপাতে বেশির ভাগ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। অভিযোগ অনুসারে প্রাথমিক স্তরে ৪৮ ও মাধ্যমিক স্তরে ২৯টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের ২৯টি প্রেস মোট ১৫ লাখ ৬ হাজার ৯৪টি নিম্নমানের বই ছেপেছে। এতে মূলত সৃষ্টি প্রিন্টার্স, কচুয়া প্রেস, অনন্যা প্রিন্টার্স, অটো প্রিন্টিং প্রেস, অগ্রণী প্রিন্টার্স, সরকার প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিকেশন এবং কর্ণফুলী প্রিন্টার্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দায়ী।

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি দুদক ২০১৭ সালের কয়েকটি লটের বই ছাপার অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিল। তখন অভিযোগ ছিল, সর্বনিম্ন দরদাতা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানকে বিধি-বহির্ভূতভাবে বাতিল করে, উচ্চমূল্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতীয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত