ঢাকা, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২
ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ

মোবারক হোসেন: ধারাবাহিক লোকসান বাড়ছে এবং দর কমছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের দুই কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হলো- সেন্টাল ফার্মা এবং সিলভা ফার্মা। কোম্পানি দুটির দর ধারাবাহিকভাবে কমে ফেসভ্যালুর কাছাকাছি অবস্থান করছ্। কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লোকসানে বেড়েই চলেছে। আগামী দিনগুলোতে কোম্পানি দুটির দর কমে ফেসভ্যালুর নিচে নেমে আসার আশঙ্কা করছে বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, কোম্পানি দুটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে সেন্ট্রাল ফার্মা। গত এক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে শেয়ারটির দর কমছে। এর ফলে আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আর একদিন শেয়ারটির দর কমলেই ফেসভ্যালুর নিচে নেমে যাবে। এর আগেও কোম্পানিটির শেয়ার ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। গত ৫ বছর ধরে কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি। এতে শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত ২ বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা।
সর্বশেষ প্রকাশিত ৩টি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে কোম্পানিটি। যার মধ্যে কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শুন্য শেয়ারপ্রতি শুন্য ৪ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৪ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ১০ পয়সা শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিছে। তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকাসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮২ পয়সা।
২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির সেন্ট্রাল ফার্মার অনুমোদিত ও পরিশোধিত মুলধন যথাক্রমে- ৩০০ কোটি টাকা এবং ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি শেয়ারের মধ্যে ৭.৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৭.৮৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ৮৪.৪৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এদিকে, গত এক মাস ধরেই দর কমছে সিলভা ফার্মার। এর ধারাবাহিকতায় আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে, যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এভাবে কমতে থাকলে খুব শিগগিরই শেয়ারটির দর ফেসভ্যালুর নিচে নেমে যাবে। এর আগে এটিও ফেসভ্যালুর নিচে লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৪ সালে ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। গত ২ বছরের মধ্যে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা।
সর্বশেষ প্রকাশিত ৩টি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে লোকসান দেখিয়েছে। যার মধ্যে কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শুন্য শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১৯ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ১৪ পয়সা শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিছে। তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকাসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৯১ পয়সা।
২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ‘বি’ ক্যাটাগরির সিলভা ফার্মার অনুমোদিত ও পরিশোধিত মুলধন যথাক্রমে- ১৫০ কোটি টাকা এবং ১৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ কোটি ১০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৬৫ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৪৫.২১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮.৭১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০১ শতাংশ বিদেশি এবং ৩৬.০৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- এডিবি’র ৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ, এনভয় টেক্সটাইলের অগ্রযাত্রা
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা