ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম, বিপাকে ক্রেতারা

পার্থ হক
পার্থ হক

রিপোর্টার

২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:০৯:২৮

সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম, বিপাকে ক্রেতারা

পার্থ হক: রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতের আমেজ জমে উঠলেও দাম সহনীয় পর্যায়ে না নামায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। প্রতিদিনই নতুন সবজির সরবরাহ বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় এবার অধিকাংশ পণ্যের দাম এখনও চড়া, যা সাধারণ মানুষের বাজেটে চাপ বাড়াচ্ছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর-১ ও আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমসহ বেশিরভাগ শীতকালীন সবজিই বিক্রি হচ্ছে গত বছরের চেয়ে বেশি দামে।

বিক্রেতাদের দাবি, অক্টোবরে অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে উৎপাদন কমে বাজারে সরবরাহের ওপর প্রভাব পড়েছে।

যদিও বাজারে দেখা যায় শীতের সবজির প্রাচুর্য বেগুন, শিম, ফুলকপি, টমেটো, শালগম, গাজর, পালং শাক, লাউ, মুলা, বরবটি, মিষ্টিকুমড়া সবই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, দাম এখনো তাদের নাগালের বাইরে।

সবজি কিনতে আসা জামাল উদ্দিন বলেন, “বাজারে সব কিছুই আছে, কিন্তু আগের বছরের মতো স্বস্তির দাম নেই। সাধারণ মানুষের জন্য বাজার করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।”

বর্তমানে ভালো মানের বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৮০-১০০ টাকায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা পিস, নতুন শিম ৭০-১০০ টাকা কেজি। আগের বছর এই সময় শিম পাওয়া যেত ৫০ টাকায়, কপি ২০-৩০ টাকায়। নতুন আলুর দাম আরও বেশি কেজিতে ১২০-১৫০ টাকা।

বরবটি ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ও পটোল ৫০-৭০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮০-১০০ টাকা পিস বা ৫০ টাকা কেজি বাজারজুড়ে একই চিত্র।

তবে শাক-সবজির মধ্যে তুলনামূলক কম দাম রয়েছে কিছু শাকে। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন, পরিমাণে কম এবং স্বাদেও আগের মতো নয়।

ক্রেতা আসাদুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শীতের সবজি আসার পর সাধারণত দাম কমে। কিন্তু এবার উল্টো বাড়ছে। সংসারের হিসাব মেলানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে।”

ব্যবসায়ীরা জানান, অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমে গেছে। নতুন করে চাষ করা সবজি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসতে আরও ৭-১০ দিন লাগবে। তখন দাম কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে পেঁয়াজের বাজারেও তারতম্য দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিম ও মুরগির বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২৫-১৩০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৭০ টাকা কেজি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে পুনরুদ্ধার সহায়তা, পরিবহন খরচ নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং ও সরবরাহ চেইনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনলেই বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে এবং ক্রেতারা স্বস্তি পাবেন।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত