ঢাকা, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের
নন-লিস্টেড বন্ড-ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগও ঋণ হিসেবে গণ্য হবে

হাসান মাহমুদ ফারাবী
রিপোর্টার

হাসান মাহমুদ ফারাবী: বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংক এবং নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআইএস) তাদের নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজে করা বিনিয়োগ—যেমন নন-কনভার্টিবল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার, নন-কনভার্টিবল বন্ড এবং ডিবেঞ্চার—এর তথ্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) ডাটাবেসে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই ধরনের বিনিয়োগকে ঋণের মতো বিবেচনা করে তার তথ্য রিপোর্ট করার উদ্দেশ্য হলো এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিকে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় রাখা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ আর্থিক খাতজুড়ে একটি ক্রমবর্ধমান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই তথ্যগুলো সিআইবি কাঠামোর অধীনে আনার ফলে ঋণগ্রহীতাদের দায় আরও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যাবে এবং সামগ্রিক ঝুঁকি নির্ণয় ব্যবস্থা জোরদার হবে।
সার্কুলারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ধরনের বিনিয়োগকে সিআইবি সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে ঋণগ্রহীতার পোর্টফোলিও আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে এবং ঋণের ঝুঁকি মূল্যায়ন উন্নত হবে।
মূল বিনিয়োগের পাশাপাশি, এই সিকিউরিটিজগুলোর ক্লাসিফিকেশন স্ট্যাটাসও রিপোর্ট করতে হবে। এছাড়াও, ঋণের যে সুদ বকেয়া আছে এবং যা অন্যান্য সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু এখনো আদায় হয়নি, তা সংশ্লিষ্ট ঋণের বিশদ বিবরণের সঙ্গে একীভূত করে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে।
যদি এই বকেয়া সুদ অন্যান্য সম্পদ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত না করা যায়, তবে তা "সাবস্ট্যান্ডার্ড" বা "মন্দ বা ক্ষতি (Bad or Loss)" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে ঋণগ্রহীতার নামেসিআইবি ডাটাবেসে রিপোর্ট করতে হবে।
সার্কুলার অনুযায়ী, নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং ঋণের বকেয়া সুদ সংক্রান্ত তথ্য, যা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বকেয়া আছে, তা ২০২৫ সালের ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সিআইবি-তে রিপোর্ট করতে হবে। এই তথ্য জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিআইবি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এবং এটি বাল্ক ফরম্যাটে বা ম্যানুয়াল রিয়েল-টাইম এন্ট্রির মাধ্যমে দেওয়া যাবে।
২০২৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে নতুন নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজে সমস্ত বিনিয়োগ এবং অন্যান্য সম্পদ হিসাবে দেখানো সংশ্লিষ্ট বকেয়া সুদের তথ্য সিআইবি রিপোর্টিংয়ের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী মাসিক ভিত্তিতে রিপোর্ট করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও স্পষ্ট করেছে যে, যদি এর ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত অনসাইট পরিদর্শনের সময় কোনো নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজ বা অন্যান্য সম্পদ—যার মধ্যে নন-কনভার্টিবল কিউমুলেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার এবং নন-কনভার্টিবল বন্ড বা ডিবেঞ্চার অন্তর্ভুক্ত—পুনঃশ্রেণীবদ্ধকরণের প্রয়োজন বলে মনে হয়, তবে সেই তথ্য অবিলম্বে সিআইবি ডাটাবেসে আপডেট করতে হবে।
অধিকন্তু, নন-লিস্টেড সিকিউরিটিজ বা বকেয়া সুদের তথ্যের পরবর্তী কোনো সংযোজন, পরিবর্তন বা সমন্বয় রিয়েল টাইমে সিআইবি সিস্টেমে রিপোর্ট করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করেছে যে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রিপোর্টে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য জমা দিলে বা তথ্য গোপন করলে, তারা আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হবে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোম্পানিতে
- মুনাফা কমেছে জুতাশিল্পের দুই জায়ান্টের
- ডিভিডেন্ড বিতরণে ব্যর্থতায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- এডিবি’র ৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ, এনভয় টেক্সটাইলের অগ্রযাত্রা