ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দেব না: নেতানিয়াহু

২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২০:০১:৫৫

ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দেব না: নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি কোনোভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয় সেটিকে বলপ্রয়োগ করেই ঠেকানো হবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে না।

মঙ্গলবার সকালে নিজ অ্যাকাউন্ট টেলিগ্রামে হোয়াইট হাউসে ধারণ করা একটি ভিডিও শেয়ার করে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন।

ওই ভিডিওতে তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে সম্মতি দিয়েছেন? উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, না, একেবারেই না।

নেতানিয়াহু বলেন, ট্রাম্পের উপস্থাপিত ২০ দফা পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র সম্পর্কিত কোনো ব্যবস্থা নেই এবং যদি কেউ বলপূর্বক এই ধাঁচের কোনো কদম নেয় তাতে ইসরায়েল প্রতিরোধ করবে। তিনি আরও দাবি করেন, গাজার পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) উপত্যকায় অবস্থান বজায় রাখবে।

আইডিএফকে গাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠার প্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু বলেন, যদি সৈন্য প্রত্যাহার করা হয় তাহলে হামাস পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং উপত্যকায় পুনর্গঠন করতে পারবে সেজন্য এটি ঘটছে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকায় নিরাপত্তা ও সামরিক অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার দিকেই জোর দিয়েছেন।

নেতানিয়াহু ভিডিওতে বলেন, ট্রাম্প তাকে আশ্বস্ত করেছেন হামাস যদি ট্রাম্পের ২০ পয়েন্টের শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দেবে। তিনি বলেছেন, হামাস ধ্বংসে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তার হোয়াইট হাউস সফর সফল হয়েছে।

ভিডিওটিতে নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একসঙ্গে দেখা যায়। তিনি পাশাপাশি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের একটি মুহূর্তের ভিডিওও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রসঙ্গত, হোয়াইট হাউসে সোমবার নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠকের পরে গাজা সংক্রান্ত একটি শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। ওই পরিকল্পনায় গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, আগাম সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা, বন্দি মুক্তি এবং একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের রোডম্যাপ করা হয়েছে। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে হামাস সম্মত হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত উভয় জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে; গাজার মানুষের জায়গা পরিবর্তন করা হবে না; হামাসকে নিরস্ত্রকরণ ও সুড়ঙ্গসহ তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে; এবং গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে, যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কিছু আরব দেশসহ অন্যান্য পক্ষ যুক্ত থাকবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত