ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
কাতারে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুর উপর বিরক্ত ট্রাম্প
.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে, কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র ফোনালাপ হয়েছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলু মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এই হামলাকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহুর প্রতি তীব্র হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য জানায়নি, যদিও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনী থেকে খবর পেয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, হামলা এমন এক মিত্র দেশের ভূখণ্ডে চালানো হয়েছে, যা গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। নেতানিয়াহু জবাবে জানিয়েছেন, হামলার সুযোগ খুব সীমিত সময়ের জন্য ছিল, তাই সেটি কাজে লাগানো হয়েছে।
এরপর দু’জনের মধ্যে আরেকটি ফোনালাপ হয়, যা প্রথমটির তুলনায় কিছুটা সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এই আলাপের সময় ট্রাম্প জানতে চান হামলা সফল হয়েছে কিনা, কিন্তু নেতানিয়াহু নিশ্চিত কোনো উত্তর দিতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছেন, যদিও হামলায় পাঁচ জন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প ক্রমেই নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কারণ, নেতানিয়াহু বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-সংক্রান্ত লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
কাতার এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের ‘বেপরোয়া আচরণ’ আর সহ্য করা হবে না। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর একসঙ্গে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪,৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি বুধবার সিএনএনকে বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে একটি আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি জানান, এই বিষয়ে আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, "এই অঞ্চল থেকে অবশ্যই প্রতিক্রিয়া আসবে। এটি বর্তমানে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনার পর্যায়ে আছে।"
কাতারে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুর উপর বিরক্ত ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে, কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে তীব্র ফোনালাপ হয়েছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতার আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলু মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এই হামলাকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নেতানিয়াহুর প্রতি তীব্র হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য জানায়নি, যদিও তার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামরিক বাহিনী থেকে খবর পেয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, হামলা এমন এক মিত্র দেশের ভূখণ্ডে চালানো হয়েছে, যা গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। নেতানিয়াহু জবাবে জানিয়েছেন, হামলার সুযোগ খুব সীমিত সময়ের জন্য ছিল, তাই সেটি কাজে লাগানো হয়েছে।
এরপর দু’জনের মধ্যে আরেকটি ফোনালাপ হয়, যা প্রথমটির তুলনায় কিছুটা সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। এই আলাপের সময় ট্রাম্প জানতে চান হামলা সফল হয়েছে কিনা, কিন্তু নেতানিয়াহু নিশ্চিত কোনো উত্তর দিতে পারেননি। পরে হামাস জানায়, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছেন, যদিও হামলায় পাঁচ জন হামাস সদস্য ও একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প ক্রমেই নেতানিয়াহুর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন। কারণ, নেতানিয়াহু বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে না জানিয়ে একতরফা আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-সংক্রান্ত লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
কাতার এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত কাজ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে। তারা সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের ‘বেপরোয়া আচরণ’ আর সহ্য করা হবে না। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর একসঙ্গে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৪,৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি বুধবার সিএনএনকে বলেন, দোহায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে একটি আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত হচ্ছে। তিনি জানান, এই বিষয়ে আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, "এই অঞ্চল থেকে অবশ্যই প্রতিক্রিয়া আসবে। এটি বর্তমানে আমাদের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনার পর্যায়ে আছে।"
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান