ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২

দুই মাসের মধ্যেই ভারত ‘সরি’ বলবেঃ মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১২:৫৩:১১

দুই মাসের মধ্যেই ভারত ‘সরি’ বলবেঃ মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃআগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ভারত পুনরায় আলোচনার টেবিলে ফিরবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। তাঁর মতে, “যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা, আর শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কথাই চূড়ান্ত।”

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুটনিক বলেন, “আমি মনে করি, খুব শিগগিরই ভারত আলোচনায় ফিরবে, দুঃখ প্রকাশ করবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে চাইবে। আর যখন মোদি আলোচনার টেবিলে আসবেন, তখন চুক্তির ধরন ঠিক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।”

তিনি অভিযোগ করেন, ভারত বাজার উন্মুক্ত করতে অনিচ্ছুক, রাশিয়ার কাছ থেকে কেনাকাটা বন্ধ করছে না এবং ব্রিকস জোট থেকেও বের হতে চাইছে না। লুটনিকের ভাষায়, “ভারত যেন রাশিয়া ও চীনের মাঝখানে এক ধরনের স্বরবর্ণ হয়ে থাকতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—হয় আমেরিকাকে সমর্থন করবে, নয়তো ৫০ শতাংশ শুল্ক মেনে নেবে।”

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এর আগে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে নভেম্বরের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি (বিটিএ) হতে পারে। তবে ২৫ আগস্ট মার্কিন আলোচক দল নিউ দিল্লি সফর স্থগিত করায় নতুন কোনো বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে, তা প্রত্যাহার করলেই আলোচনার পথ খুলবে।

যুক্তরাষ্ট্র যে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তা জানিয়ে লুটনিক বলেন, “আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। চীন হোক বা ভারত—তারা সবাই আমাদের কাছেই পণ্য বিক্রি করে। নিজেদের মধ্যে বিক্রি করে টিকতে পারবে না। তাই শেষ পর্যন্ত সবারই ক্রেতার কাছে ফিরে আসতে হয়, কারণ ক্রেতাই সব সময় সঠিক।”

লুটনিক সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠককে “দম্ভ” হিসেবে উল্লেখ করেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “কানাডাও একসময় পাল্টা শুল্ক বসিয়েছিল। কিন্তু তাদের জিডিপি নেমে গিয়েছিল মাইনাস ১.৬ শতাংশে এবং বেকারত্ব ৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। শেষ পর্যন্ত কানাডা সেই শুল্ক প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। শুরুতে শক্তি দেখাতে ভালো লাগে, কিন্তু ব্যবসার স্বার্থেই শেষ পর্যন্ত সবাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই বসতে বাধ্য হয়।”

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত