ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ১১

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১০:৪০:৫৯

ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ১১

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলা থেকে আসা একটি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে মার্কিন সামরিক অভিযানে ১১ জন নিহত হয়েছে। এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি নিহতদের 'সন্ত্রাসী' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, "কয়েক মিনিট আগে আমরা একটি মাদকবাহী নৌকা গুলি করে উড়িয়ে দিয়েছি। এতে বিপুল পরিমাণ মাদক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে মাদক আসছে...এগুলো এসেছে ভেনেজুয়েলা থেকে।" এই হামলাকে দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর প্রথম বড় অভিযান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্প তার 'ট্রুথ সোশ্যাল' প্ল্যাটফর্মে একটি ড্রোন ফুটেজের ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে একটি স্পিডবোট সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয়ে জ্বলতে দেখা যায়। তিনি দাবি করেন, এই অভিযানে ১১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি। ট্রাম্পের অভিযোগ, নিহতরা ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং 'ট্রেন দে আরাগুয়া'র সদস্য, যাকে যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এই গ্যাংকে নিয়ন্ত্রণ করেন। যদিও মাদুরোর সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী ফ্রেডি নানেজ ট্রাম্পের প্রকাশ করা ভিডিওটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি বলে দাবি করেছেন। তবে রয়টার্স প্রাথমিকভাবে ভিডিওটি যাচাই করে কোনো কারসাজির প্রমাণ পায়নি, এবং সম্পূর্ণ যাচাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এখনো হামলার বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। নৌকায় ঠিক কী ধরনের ও কী পরিমাণ মাদক ছিল বা কীভাবে আক্রমণটি পরিচালনা করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকাকে জব্দ না করে সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা, যা সাধারণত আল কায়েদার মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কঠোর মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। এসব জাহাজে ৪,৫০০-এর বেশি নৌসেনা ও মেরিন সদস্য রয়েছেন এবং গোয়েন্দা তথ্যের জন্য পি-৮ স্পাই প্লেনও ব্যবহৃত হচ্ছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত