ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

ভাসানচরে অপরাধ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের নতুন পদক্ষেপ

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ আগস্ট ২৪ ২০:৩৩:২৯
ভাসানচরে অপরাধ ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের নতুন পদক্ষেপ

কক্সবাজারের ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যা, অপহরণ, মাদক পাচার ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন ও কঠোর কৌশল গ্রহণ করেছে সরকার। ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং স্থানীয়দের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো যৌথভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক অপরাধ দমনে এখন থেকে ‘দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। বিশেষ করে ‘আরসা’সহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা ঠেকাতে কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে। ক্যাম্পগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন এবং আনসার সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত যৌথ টহল জোরদার করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ৩৩টি ক্যাম্পে বসবাসকারী প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। আরসা ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী মাদক ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালান, চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে ক্যাম্পের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে সরকারের নতুন কৌশলের আওতায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে:

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্পে সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান চালানো হবে।

সীমান্তে কড়াকড়ি: নতুন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

রোহিঙ্গারা যাতে ভাসানচর থেকে অবৈধভাবে কক্সবাজার বা দেশের অন্যত্র যেতে না পারে, সেজন্য উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে।

ক্যাম্পের অভ্যন্তরে গুজব ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথবাহিনীর অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযানে প্রায় ১৯ লাখ ইয়াবা উদ্ধার এবং দেড় শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মাদক শনাক্তকরণে ক্যাম্পে অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের জন্য আধুনিক স্ক্যানার বসানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত