ঢাকা, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

কে দিয়েছিলেন ফেসবুক আইডি লাল করার আইডিয়া?

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ০৬ ২০:১১:৪০
কে দিয়েছিলেন ফেসবুক আইডি লাল করার আইডিয়া?

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২৯ জুলাই নিহত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্যদের স্মরণে সরকার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারীরা। তারা আন্দোলনের সময় নিহত ও নির্যাতিতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে ছবি তোলার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল পিকচার লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করে।

এই কর্মসূচির পেছনের পরিকল্পনা নিয়ে সম্প্রতি সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। তিনি বলেন, "রাষ্ট্র যখন গণহত্যার পরিবর্তে নাটকীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় শোক ও কালো পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা দেয়, তখন আবু সাদিক কায়েম আমার কাছে পরামর্শ চান। আমি তাকে বললাম, আমরা পাল্টা কর্মসূচি দেব। তারা যেহেতু কালো বেছে নিয়েছে, আমরা লাল বেছে নিই।"

তিনি আরও বলেন, "আইডিয়াটি শেয়ার করার পর সাদিক কায়েম বললেন, এটা কার্যকর হতে পারে। এটাই চূড়ান্ত করা হলো। আমরা একটি প্রেস রিলিজ তৈরি করে সমন্বয়কদের কাছে পাঠাই, এবং তারা এটি ঘোষণা করেন। পরের দিন দেখলাম, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ তাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করে আপডেট করছেন। এমনকি ড. ইউনূস এবং খালেদা জিয়ার ফেসবুক পেজেও লাল প্রোফাইল শেয়ার করা হয়।"

ফরহাদ ব্যাখ্যা করেন, "রাষ্ট্র কালো পতাকার প্রতীক বেছে নিয়েছে, তাই আমরা লাল বেছে নিলাম। লাল রক্তের প্রতীক, যা দিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে পারি। এজন্য আমরা মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ এবং ফেসবুক প্রোফাইল লাল করার কর্মসূচি ঘোষণা করি।"

ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, "এই কর্মসূচির পেছনে বড় কারণ ছিল তখনকার পরিস্থিতি। আমরা তখন অনলাইন ও সফট কর্মসূচির ওপর নির্ভর করছিলাম। হার্ড কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে দেখা গেল, প্রচুর গ্রেপ্তার ও মামলা হচ্ছে। তাই আমরা সফট কর্মসূচির দিকে মনোযোগ দিই। লাল প্রোফাইল কর্মসূচি যখন ব্যাপক সাড়া পেল, তখন আমরা অনুপ্রাণিত হলাম এবং পরে মাঠের কর্মসূচিতে যাই। প্রায় এক সপ্তাহের সফট কর্মসূচির শেষ ধাপ ছিল এই লাল প্রোফাইল কর্মসূচি।"

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত