ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
বাংলাদেশে 'পুশইন': বিশেষ বিমানে আনল আরও ২০০ জন
.jpg)
গত কয়েক মাস ধরে ভারতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আটকের পর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইন না মেনে দিনদিন এই ঘটনা বেড়েই চলেছে। এবার দেশটির পশ্চিমী রাজ্য গুজরাটের ভাদোদরা থেকে প্রায় ২০০ জনকে ভারতের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আটক ব্যক্তিদের ভারতের বাংলাদেশের সীমানাসংলগ্ন রাজ্যগুলোর সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো (পুশইন) করা হবে।
এ বিষয়ে গুজরাট পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন," ভাদোদরা বিমানঘাঁটি থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ারবাস এ৩২১ বিমানে করে ‘নিশ্চিত বাংলাদেশি’সহ বেশ কয়েকজন অবৈধ সন্দেহভাজনকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকজনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সেখান থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) স্থল সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে।"
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে দুই মাস আগে গুজরাটে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়। এরপর অবৈধ সন্দেহভাজনকে আটক করে একটি অস্থায়ী কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।"
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, "এই অবৈধ সন্দেহভাজনদের পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশে পুশ-ইন করার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতের পক্ষ থেকে যেটি ‘পুশ-ব্যাক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ তা ‘পুশ-ইন’ হিসেবে দেখে। এই পদ্ধতিতে সীমান্তে আটক ব্যক্তিদের অন্য দেশের সীমানায় জোরপূর্বক ঠেলে দেওয়া হয়। ভারতে এই প্রক্রিয়ার কোনো আইনগত স্বীকৃতি না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা পুশইন করে যাচ্ছে। আবার সরকারিভাবেও কেউ একে স্বীকার করে না।
বাংলাদেশ সরকার এ নিয়ে একাধিকবার ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং দিল্লিকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া না আসায় পুশ-ইনের ঘটনা থেমে থাকেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানে চালানো অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ১২ কোম্পানি
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- ‘শেয়ারবাজারের মাঠ খেলার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত’
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজার: এশিয়ার দ্বিতীয় নিকৃষ্ট পারফর্মার