ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২
সরকারি প্রকল্পে অব্যবস্থাপনা: সমাধানে ‘পিডি পুল’ তৈরির সুপারিশ

সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ, ঘন ঘন পিডি বদলি এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র উঠে এসেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে। এসব সমস্যার সমাধানে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ‘পিডি পুল’ তৈরি করে সেখান থেকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের কর্মশালায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ‘হাই লেভেল ডিজেমিনেশন ওয়ার্কশপ ইন কনটেমপোরারি ইস্যুজ ইন প্রজেক্ট প্ল্যানিং অ্যান্ড ইমপ্লেমেন্টেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কর্মশালায় সরকারের সিনিয়র সচিব, সচিব এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
আইএমইডি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চলমান ১,৪৫৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৬৬৮টি প্রকল্প পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ৫৫টি প্রকল্পে নিবিড় পরিবীক্ষণ চালিয়ে সংস্থাটি দেখতে পায়, প্রকল্প প্রণয়নে যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই না করা, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ওপর অতি-নির্ভরশীলতা, ভূমি অধিগ্রহণে সমন্বয়হীনতা এবং সময়মতো প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদন (পিসিআর) জমা না দেওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা বিদ্যমান।
প্রকল্পে পূর্ণকালীন, অভিজ্ঞ ও যোগ্য পিডি নিয়োগ না দেওয়াকে অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একই কর্মকর্তাকে একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া এবং ঘন ঘন বদলির কারণে প্রকল্পের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। এর সমাধানে দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ‘পিডি পুল’ গঠন করে সেখান থেকে পিডি নিয়োগ এবং তাদের জন্য আর্থিক ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণের সুপারিশ করা হয়।
যথাযথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ, ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন, অবাস্তব ব্যয় প্রাক্কলন এবং পরিবেশগত বিষয় উপেক্ষা করার মতো সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়। সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ দ্বারা সম্ভাব্যতা যাচাই এবং মাস্টার প্ল্যান অনুসরণ করে ডিজাইন প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ওয়ার্ক প্ল্যান ও প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান অনুসরণ না করা, ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা এবং আইএমইডির প্রতিবেদনের সুপারিশ উপেক্ষা করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এসব সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা কঠোরভাবে অনুসরণ, নিয়মিত মনিটরিং এবং প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে তিন মাস আগে মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
প্রকল্প শেষ হওয়ার পর সময়মতো পিসিআর জমা না দেওয়া, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না করা এবং প্রকল্পের যানবাহন সরকারি পরিবহন পুলে জমা না দেওয়ার মতো অনিয়ম তুলে ধরা হয়। এসব ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোরভাবে পালনের সুপারিশ করা হয়।
কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, "প্রকল্প ব্যবস্থাপনা আরও মসৃণ ও স্মার্ট করাই আমাদের লক্ষ্য। কর্মশালায় উঠে আসা মতামত ও সুপারিশগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনবে বলে আমরা আশাবাদী।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- মারা গেলেন থ্রি ইডিয়টস সিনেমার অভিনেতা
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বদলে যাচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নিয়ম, বাড়ছে জবাবদিহিতা
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারে নতুন জোয়ার
- প্রফিট টেকিং-এর কবলে শীর্ষ চার শেয়ার