ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড

২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২০:৩০:২৫

সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যে কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড (সাপোর্ট) চলতি অর্থবছরে রেকর্ড মুনাফা করেছে। মুনাফা বৃদ্ধির ফলে কোম্পানিটি গত ১৫ বছরের মধ্যে শেয়ারধারীদের জন্য সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারধারীদের ১৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একজন বিনিয়োগকারী ১ টাকা ৮০ পয়সা করে পাবেন।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪–২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি ডিভিডেন্ড ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বিগত অর্থবছর শেষে সাপোর্টের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৪১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ বা ২৬ কোটি টাকার বেশি।

এটি কোম্পানিটির ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণা। ২০১০ সালে তারা ২০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার দিয়েছিল, তবে এবার সম্পূর্ণ ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম প্রতি বছর বাড়তে থাকায় কনটেইনার ব্যবস্থাপনা সেবার চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক এখাতে ১৯টি বেসরকারি ডিপো থাকলেও প্রায় ৬টি প্রতিষ্ঠানই সিংহভাগ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।

কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ১৯টি বেসরকারি ডিপো ৮ লাখ ৩০ হাজার একক কনটেইনার ব্যবস্থাপনা করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। এর মধ্যে সাপোর্ট এককভাবে ৯২ হাজার ৬৭০ একক কনটেইনার পরিচালনা করেছে, যা বাজারের প্রায় ১১ শতাংশ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর রপ্তানি খাতের সাত ধরনের সেবার মাশুল গড়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন। খালি কনটেইনার ভাড়াও সমন্বয় করা হয়েছে, ফলে বছরে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আয় বৃদ্ধি ও চাহিদা বৃদ্ধিই কোম্পানিগুলোর মুনাফা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সাপোর্ট ২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং বর্তমানে এটি ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত একটি কোম্পানি। সর্বশেষ অক্টোবর শেষে কোম্পানির ৫৯ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা–পরিচালকদের কাছে, ২৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের, ১১.৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এবং ৩.৫ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত