ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

আবাসিক প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৭ নির্দেশনা

২০২৫ নভেম্বর ১০ ২৩:৪০:৪৯

আবাসিক প্লট-ফ্ল্যাট হস্তান্তরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৭ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তর সংক্রান্ত সেবা সহজ করতে ৭ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জারি করা এই নির্দেশনার লক্ষ্য হলো লিজ গ্রহীতাদের দুর্ভোগ, হয়রানি ও দুর্নীতি কমানো। এতে উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা হেবাসূত্রে নামজারি এবং হস্তান্তর দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন গ্রহণের প্রচলিত প্রথা বাতিল করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে উত্তরাধিকার, ক্রয়, দান বা হেবাসূত্রে নামজারি, হস্তান্তর দলিল সম্পাদন বা বাতিল, আম-মোক্তার দলিল সম্পাদন বা বাতিল এবং ঋণ গ্রহণের অনুমতির জন্য লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে প্লটের বিভাজন, একত্রীকরণ বা ব্যবহার শ্রেণির পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি বহাল থাকবে।

দলিলগ্রহীতাকে ফ্ল্যাট বা ভবনসহ ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ২ শতাংশ এবং শুধু প্লট বা ভূমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ৩ শতাংশ হারে অর্থ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুকূলে জমা দিতে হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের প্লট বা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও একই হারে নন-ট্যাক্স রেভিনিউ (এনটিআর) হিসেবে আদায় করা হবে।

মালিকানা রেকর্ড সংরক্ষণ ও হালনাগাদ রাখতে দলিল সম্পাদনের পর ৯০ দিনের মধ্যে অবিকল নকলের কপি এবং নামজারির পর রেকর্ডপত্র লিজদাতা প্রতিষ্ঠানে দাখিল করতে হবে। ব্যর্থ হলে দৈনিক ৫০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। লিজদাতা প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের মধ্যে মালিকানা রেকর্ড হালনাগাদ করে ক্রেতাকে অবহিত করতে হবে।

লিজ দলিলের মেয়াদ শেষে (৯৯ বছর পর) তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন করা বলে গণ্য হবে এবং অনুচ্ছেদ-২ এ বর্ণিত হস্তান্তর ফি আদায়ও রহিত হয়ে যাবে। তবে প্লটের বিভাজন, একত্রীকরণ, বা ব্যবহার শ্রেণির পরিবর্তন সহ মাস্টার প্ল্যানের কোনো পরিবর্তন করতে হলে লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের পূর্বানুমতি লাগবে।

আবাসিক ছাড়া অন্যান্য (প্রাতিষ্ঠানিক, বাণিজ্য ও শিল্প) প্লট, ফ্ল্যাট বা স্পেসের হস্তান্তর ও নামজারিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে লিজদাতা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণের বিদ্যমান প্রথা বহাল থাকবে। এছাড়া, মালিকানা নিয়ে বিরোধ, পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মেয়াদে বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট, ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্ষেত্রে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লিজদাতা প্রতিষ্ঠান হতে অনুমোদন গ্রহণের প্রথা বহাল থাকবে।

এ প্রজ্ঞাপনের অধীন যেসব আবাসিক প্লট বা ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে অনুমোদন লাগবে না, সেগুলোর তালিকা যত দ্রুত সম্ভব তফসিল আকারে প্রকাশ করা হবে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত