ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

ইসি'র অফিস সহায়ক মো. জাফর ইকবাল চাকরিচ্যুত

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৯:৫৩:০৪

ইসি'র অফিস সহায়ক মো. জাফর ইকবাল চাকরিচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনা অনুমতিতে দীর্ঘ ৬০ দিনের বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মো. জাফর ইকবালকে অবশেষে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪(৩)(গ) অনুযায়ী, পলায়নের তারিখ অর্থাৎ গত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে অনুপস্থিত থাকায় তাকে 'চাকরি থেকে অপসারণ' করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রশাসন ও অর্থ শাখার যুগ্মসচিব ডি এম আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে চাকরিচ্যুতির এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদেশে ইসি জানায়, মো. জাফর ইকবাল গত ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার অভিযোগ উত্থাপন করেন। তার এই কাজকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এবং বিধি ৩(গ) অনুযায়ী 'পলায়ন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা নং-০৭/২০২৪ রুজু করে গত বছরের ২৯ জুলাই অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় পাঠানো হলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না পাওয়ায় মামলাটি তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ, সহকারী সচিব (প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা) বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও অভিযুক্তের কোনো সাড়া পাননি। তদন্তের সময় অভিযুক্ত উপস্থিত না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ২২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে 'অসদাচরণ' ও 'পলায়ন'-এর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়।

ইসি আরও জানায়, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ধারা ২(৬) অনুযায়ী, ঢাকা মিরপুর-১ এর ৫ নং দক্ষিণ বিশিল, রোড নং-১১ ঠিকানায় তার বর্তমান বাসস্থানে নোটিশ টানানো হয়। অভিযুক্ত কর্মচারী গত ১৮ আগস্ট হাতে-হাতে নোটিশের একটি কপি রিসিভ করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব দাখিল করেননি বা কোনো যোগাযোগ করেননি। নথি পর্যালোচনায় 'অসদাচরণ' ও 'পলায়ন'-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে গুরুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র সচিব বিধি ৪(৩)(গ) অনুযায়ী পলায়নের তারিখ থেকে তাকে চাকরি হতে অপসারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত