ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
আকুর আমদানি বিল পরিশোধ, রিজার্ভ নেমে ৩১ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনরায় ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ১৬১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আকুকে পরিশোধ করেছে, যার ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমদানি লেনদেন বাবদ গৃহীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য এই বিল দেওয়া হয়েছে। আকুর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে লেনদেনের নিষ্পত্তির জন্য প্রতি দুই মাস অন্তর এ ধরনের বিল পরিশোধ করতে হয়।
গত মাসে দেশের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। আকুর ১.৬১ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩১ বিলিয়নে নেমে এলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবাহ ভালো থাকায় রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশের ইতিহাসে ২০২২ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর ব্যাপক অর্থ পাচারের কারণে রিজার্ভে বড় ধরনের সংকট তৈরি হয় এবং গত বছর সরকার পতনের আগে জুলাইয়ের শেষে তা ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করে এবং অর্থ পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিগত সরকারের রেখে যাওয়া প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বকেয়া পরিশোধ করার পরও রিজার্ভ এখন গ্রহণযোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ নভেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ (এনআইআর) প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রয়েছে, যা সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করে আমদানি ব্যয় ধরে এই রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়, সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
আকু কী?
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা যা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার (বর্তমানে সাময়িক স্থগিত) মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করে। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর অবস্থিত। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার আকু সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিএনপির মনোনয়নে শেয়ারবাজারে ঝড় তুলেছে তিন কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৪৪ কোম্পানির ইপিএস