ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

স্ট্যামফোর্ডে ‘এআই এবং সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৭:০৮:৪৪
স্ট্যামফোর্ডে ‘এআই এবং সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চালিকাশক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং এর সঙ্গে অপরিহার্য বিষয় সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্বকে সামনে রেখে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ কর্তৃক "অ্যাপ্লিকেশনস অফ এআই অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি - হ্যান্ডস অন পার্সপেক্টিভ" শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মশালাটি আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্স মুগরিন ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেনসিক কম্পিউটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। তিনি এআই এবং সাইবার নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক এবং এর বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, ভাইস চ্যান্সেলর, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো. ইউনুস মিয়া, প্রো-ভিসি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রফেসর ড. মো. জিয়াউল হাসান, ট্রেজারার, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ, সি.ই.ও, আল্টিমেট গ্রুপ এবং নির্বাহী পরিচালক, আল-মদিনা খাইরিয়া ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা হাবিবা এবং সঞ্চালনা করেন একই বিভাগের লেকচারার সাবরিনা নাসরিন সায়মা।

কর্মশালার প্রধান আকর্ষণ কী-নোট স্পিকার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রহমান তার বক্তব্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগান্তকারী সম্ভাবনা এবং সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত প্রজেক্টগুলো শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে দেখিয়েছেন কীভাবে দৈনন্দিন জীবনে এআই প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ছে।

ড. আব্দুর রহমান উল্লেখ করেন, কীভাবে এআই ব্যবহার করে সড়কের যানবাহনগুলোর নম্বর প্লেট নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং চুরি হওয়া গাড়ি খুঁজে বের করা এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করে যানজট কমানো সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরও দেখান, একটি আধুনিক শহর কতটা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায় এআই ব্যবহার করে। তিনি বলেন, "আপনার শহরের কোথায় ডাস্টবিন থাকা উচিত, কিংবা কোথায় ময়লা ফেলার ডাম্পিং স্টেশন তৈরি করলে সবচেয়ে কার্যকর হবে, তা-ও এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হচ্ছে।" এআই বিভিন্ন ডেটা, যেমন—জনসংখ্যার ঘনত্ব, মানুষের চলাচল এবং বর্জ্য উৎপাদনের হার বিশ্লেষণ করে নগর পরিকল্পনাবিদদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এর ফলে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলা সহজ হয়।

অধ্যাপক আব্দুর রহমানের মতে, এআই-এর এই ব্যবহারগুলো আমাদের জীবনযাত্রাকে আরও কার্যকর, নিরাপদ এবং টেকসই করে তুলছে।

কর্মশালায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তার এই তথ্যবহুল উপস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই আয়োজন শিক্ষার্থীদেরকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন ও দক্ষ করে তুলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত