ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদকের নোটিশ

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ আগস্ট ১৯ ১৭:৩৫:১৯
এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদকের নোটিশ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ জন কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করেছে। এই কর্মকর্তারা সম্প্রতি এনবিআরের যৌক্তিক সংস্কার এবং চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাঁদের বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। একারণে কমিশন তাঁদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

যে ১৭ জন কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন: সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (ভ্যাট) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া, কর অঞ্চল-১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল-১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল-৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক।

মো. আক্তার হোসেন আরও জানান, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং বিভিন্ন শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকিতে সহায়তা করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেরাও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৯ জুন, এনবিআরের সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছয়জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এই তদন্ত সরকারি চাপ কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক জানান, এটি কোনো সরকারি চাপের অংশ নয়, বরং এনবিআরের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই চলমান অনুসন্ধানের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক করদাতা অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে তা ফেরত পাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়েও দুদক কাজ করছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত